আজ ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামতেই হবে, পুতিনকে দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

  • In আন্তর্জাতিক
  • পোস্ট টাইমঃ ১৮ জুন ২০২৩ @ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৮ জুন ২০২৩@১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেন যুদ্ধ থামতেই হবে, পুতিনকে দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।

রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ থামতেই হবে। অন্য ছয় আফ্রিকান দেশের সঙ্গে মিলে এক শান্তি মিশনের অংশ হিসেবে শনিবার সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রামাফোসা।

এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিনিধি দলটি। সেখানে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেছেন ইউক্রেনের ভূমি দখল করে রাখা অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবেন না তিনি। আর আফ্রিকান নেতাদের পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন বরাবরই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের বৈঠকে রামাফোসা উভয় পক্ষকে যুদ্ধবন্দি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান এবং রাশিয়া যেসব শিশুদের ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের অবশ্যই বাড়ি ফেরত পাঠাতে হবে। হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে সরিয়ে নেয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন পুতিন।

আফ্রিকান প্রতিনিধি দলটি ওই শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানাতে থাকলে পুতিন তাদের বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে দাবি করেন রাশিয়া তাদের রক্ষা করছে। তিনি বলেন, ‘শিশুরা ভয় পাচ্ছে। আমরা তাদের যুদ্ধ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়েছি, তাদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করছি।’ জাতিসংঘ বলছে, হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ আফ্রিকায় যে প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও পুতিনকে সতর্ক করেন সিরিল রামাফোসা। তিনি বলেন, এটা অবশ্যই কূটনীতির মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। রামাফোসা বলেন, যুদ্ধ চিরকাল চলতে পারে না। সব যুদ্ধই মীমাংসা হয়েছে এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে থেমেছে। আর আমরা খুবই পরিষ্কার একটা বার্তা নিয়ে যোগাযোগ করতে এসেছি যে, আমরা চাই এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাক।

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য ও রাশিয়ার সার রপ্তানি মারাত্মক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রভাব ভয়াবহ। এছাড়া সারা দুনিয়াতে খাদ্য নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বাড়ছে। তবে শস্য সংকটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ নয়- পশ্চিমাদের দায়ী করেন পুতিন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে দরিদ্রতম দেশগুলোতে খাদ্য পৌঁছানোর চুক্তির অধীনে মাত্র তিন শতাংশ শস্য রপ্তানির অনুমোদন মিলেছে।

রাশিয়া বরাবর অভিযোগ করে আসছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মস্কোর কৃষি রপ্তানি সীমিত করে দিয়েছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কোনো কারণ নেই। কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।’

যুদ্ধ নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের জন্য আফ্রিকার নেতাদের প্রশংসা করেন পুতিন। রাশিয়া এই যুদ্ধকে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান নামে অভিহিত করে আসছে। আফ্রিকার ওই প্রতিনিধি দলটি গঠন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, সেনেগাল, কঙ্গো-ব্রাজ্জাভিলে, কমোরোস, জাম্বিয়া এবং উগান্ডার নানা প্রতিনিধিদের নিয়ে। যুদ্ধ নিয়ে এসব দেশের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং উগান্ডাকে মনে করা হয় তারা রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে, অন্যদিকে পশ্চিমের দিকে ঝুঁকছে জাম্বিয়া এবং কমোরোস। শিসর, সেনেগাল এবং কঙ্গো-ব্রাজ্জাভিলে মূলত নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে। আফ্রিকান নেতারা মূলত এই সংঘাতকে রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে চলছে বলে বিবেচনা করে থাকে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights