।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো ৫ শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন। কার্যালয়ের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স জানিয়েছেন, ৭৮ জন প্রাণ হারানো এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ থাকাদের বড় অংশই নারী ও শিশু। তিনি বলেন, এই ভয়াবহ ঘটনা পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে।
গ্রিসের ভূমধ্যসাগরীয় পেলোপনিস উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নৌকাটি গত বুধবার ডুবে যায়। দেশটির কোস্টগার্ড বলেছে, তারা সাহায্য করতে চাইলেও নৌকাটি তা নিতে অস্বীকার করে। তারা মঙ্গলবার রাতে নৌকাটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চিহ্নিত করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টের একটি হেলিকপ্টার নৌকাটিকে চিহ্নিত করে। আরোহীদের কারোরই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিল না।
গ্রিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী লোয়ানিস সারমাস বলেছেন, নৌকাডুবির কারণ নির্ধারণে বিস্তারিত তদন্ত হবে। একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নৌকাটির সঙ্গে কোস্টগার্ড দড়ি বাধার পর তা ডুবে যায়। প্রাথমিকভাবে গ্রিক কোস্টগার্ড জানায় তারা নৌকাটি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। তবে গ্রিক সংবাদপত্র কাঠিমেরিনি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, কোস্টগার্ড সদস্যরা নৌকাটির অবস্থা পরীক্ষা করতে দড়ি বাধার চেষ্টা করে। আর নৌকার আরোহীরা ইতালির দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালাতে থাকে।