।।বিডি হেডলাইনস ডেস্ক।।
১৯৭২সালের ৮ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনে সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তজার্তিক দাতা সংস্থা লুথেরান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন বাংলাদেশে আরডিআরএস (রংপুর দিনাজপুর রিহ্যাবিলেটেশন সার্ভিস) প্রতিষ্ঠা করে।
এর অবস্হান বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, রংপুর। এটাই হেড অফিস। পরিবেশবান্ধব এই ভবনটির বাহ্যিক সৌন্দর্য বর্ধনে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের এক অপরুপ সৃষ্টি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস।
ভবনটির দিকে তাকালে যে কারোরই চোখ আটকে যাবে। আপাদমস্তক লতাপাতায় আচ্ছাদিত। ভবনগুলো রংপুর নগরীর একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ভবনটি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে লতা জাতীয় উদ্ভিদ ‘ত্রিপার’ নিয়ে এসে ভবনটির চারদিকে রোপণ করেন। চারা রোপণের এক বছর পর ভবনটির চারদিকে সবুজে ঢাকা পড়ে।
ভবন নির্মাণে পরামর্শক মোহাম্মদ আসলাম পাভেজ জানান- এটি করা হয়েছে গ্রীন হাউজের জন্য। কারণ হিসেবে তিনি জানান- লতাপাতার কারণে ভবনটি সবসময় ঠান্ডা থাকে। গরমের সময় এসি খরচ কম হয়। দেখতে সুন্দর লাগে। ছয় মাস পর পর ভবনের লতাপাতাগুলো ছোট করে দিতে হয়।
‘গ্রীন হাউজ ভবন’ হিসেবে পরিচিত আরডিআরএস ভবনটি দেখেতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। ভবনটির পাশ দিয়ে কেউ গেলে না তাকিয়ে পারবে না। ভবনের চারপাশ দিয়ে সবুজ লতাগুলো যেভাবে আঁকড়ে ধরেছে তা চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব এই ভবনটি ইতোমধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছে।