মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমারে “জেনারেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার” এ এক শিশু গর্ভবতী হওয়ার ভুল রিপোর্ট প্রদানের ঘটনায় পরপর কয়েকটি নিউজ প্রকাশিত হয় “বিডি হেডলাইন্স” পত্রিকায়। উক্ত সংবাদটি প্রশাসনের নজরে আসলে আজ ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ক্লিনিকটি বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়।
বিডি হেডলাইন্সের এই প্রতিবেদক জানান- ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি। এর পাশাপাশি ২২ হাজার টাকা অর্থদন্ড হিসেবে জরিমানা আদায় করা হয়।
খবরটি ‘বিডি হেডলাইন্স’ এ প্রকাশিত হবার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে রিপোর্ট প্রদান করেন। এর নিরিখে বৃহষ্পতিবার ১৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮, ৪০ ও ৫২ ধারায় উল্লেখিত রায় প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন ডোমার থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও এবং তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ নাহিদা তাসনিম হিমি, এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডাঃ কামরুল হাসান নোবেল প্রমুখ।
আগের সংবাদ দেখুনঃ
বিডিহেডলাইন্সে প্রচারিত ‘মাদ্রাসা ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বা ভুল রিপোর্ট’ তদন্তে কমিটির তদন্ত সম্পূর্ণ
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বিডিহেডলাইন্সকে জানান, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পূর্ণরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ জুন সোমবার বিকেলে ক্লিনিকটিতে পেটের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ১৩ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী এলে চিকিৎসক তাকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইউরিন পরীক্ষা করে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে ভূল রিপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর মেয়েটির স্বজনেরা অন্য দুটি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করে জানতে পারেন কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা নয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ ঘন্টা ধরে ‘জেনারেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’টি অবরোধ করে রাখেন।
এ ঘটনায় খবর প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। আজ সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।