।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
“আঁচল ফাউন্ডেশন” নামে একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের এক জরিপে এই তথ্য জানিয়েছে৷ তাদের জরিপ থেকে জানা যায় দেশে প্রায় ৯১শতাংশ ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটে আসক্ত। তাদের জরিপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক গেজেটও অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ তবে তাদের এই জরিপ নিয়ে প্রশ্নও আছে৷ বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা- বাস্তবে সংখ্যাটা এত বেশি নাও হতে পারে৷
প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশের এক হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীর মধ্যে চরিপ চালায়, যাদের বয়স ১৬থেকে ৩০বছরের মধ্যে৷ এরমধ্যে নারী ৪৯.৫এবং পুরুষ ৪৯.৭শতাংশ৷ তৃতীয় লিঙ্গের ০.৮শতাংশ৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জরিপটি চালানো হয়৷
বিশ্লেষকেরা বলছেন- ইন্টারনেট ভিত্তিক যত প্রোডাক্ট তৈরি করা হচ্ছে তারা টার্গেটই হলো আসক্ত করা৷ তাই এই ব্যাপারে অভিভাবকদের সবার আগে সচেতন হতে হবে৷ কারণ ইন্টারনেট মানুষের প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে গেছে৷ এটা বাদ দেয়ার কোনো উপায় নেই৷ তাই এখন দরকার ইন্টারনেট লিটারেসি৷
জরিপে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭২.২শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা তাদের জীবনে কখনো না কখনো মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন৷ এই মানসিক সমস্যার জন্য ৮৫.৯শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটকে দায়ী করেন৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন- আমাদের তরুণদের ব্যস্ত রাখার মতো কোনো ব্যবস্থা আমরা রাখছি না৷ বিনোদন বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোরও এখন তেমন সুযোগ নাই৷ ঢাকা শহরে খেলার মাঠ নাই ফলে তরুণরা ইন্টারনেটে সময় কাটাচ্ছে৷ এটা এক সময় তাদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করে৷ তারা বাস্তব দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দা হয়ে উঠছে৷ এতে তাদের মানসিক এবং শারীরিক দুই ধরনের সমস্যাই হচ্ছে৷
এই জরিপে যদি ৪০থেকে ৫৫-৬০বছরের নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হতো তাহলে ভিন্ন আরেকটি চিত্র পাওয়া যেত৷ যা থেকে এই ইন্টারনেট আসক্তির কারণ বের করা সহজ হতো মনে করেন, এই অধ্যাপক৷