।।বিশেষ প্রতিনিধি।।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি’র গুরুত্ব বাড়াতে ও সকল তথ্য সুরক্ষায় রাখতে এই কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে যাচ্ছে। এখন থেকে জন্মের পরপরই নিবন্ধন করে দেওয়া হবে নাগরিকত্বের নম্বর। আর বয়স ১৮হলেই দেওয়া হবে ভোটার আইডি কার্ড।
নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখতিয়ার দিয়ে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বর্তমানে ১৮বছর বয়স থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র করার নিয়ম রয়েছে। এরপর থেকে জন্মের পরপরই শিশুকে এনআইডির আওতায় নিয়ে আসা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন- “জন্মের পর থেকেই শিশু জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পাবেন। তবে ১৮বছর বয়স হলে তার লিংক পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশন তাকে ভোটার করে নেবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হচ্ছে আলাদা নিবন্ধন অধিদফতর”।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন- সব নাগরিকের একটা ইউনিক নম্বর থাকা দরকার। এটিই হবে তার পরিচয় এবং জন্মগত অধিকার। সব তথ্য এই নম্বরেই আপডেট হবে। একজন নাগরিক জন্মের পর থেকে এই নম্বর পাবেন। সেজন্য নতুন নিবন্ধক অফিস হবে। এটি ওই অফিস চিন্তা করবে কোনো কোনো স্থানে তাদের অফিস থাকবে। তিনি আরো বলেন- এখন মন্ত্রিপরিষদ আইনটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এরপর সংসদে পাস হওয়ার পরই আইনটির বাস্তবায়ন শুরু হবে।
উল্লেখ্য, নতুন যে নিবন্ধন অধিদফতর হচ্ছে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে। অধিদফতর যদি মনে করে কাজের পরিধি বাড়াতে জেলা কিংবা উপজেলা পর্যায়ে অফিস দরকার তাহলে সেভাবে অফিস প্রতিষ্ঠা করবে। বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদফতর, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর রয়েছে। এবার এর সঙ্গে যোগ হলো নিবন্ধন অধিদফতর।