।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
একজন মেয়র প্রার্থীর উপর আকস্মিক হামলা, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ আর ইভিএমে ধীরগতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শেষ হল বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সোমবার সকাল ৮টায় দুই নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। বরিশালে এক প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ছাড়া বড় কোনো গোলযোগ কোথাও ঘটেনি। অবশ্য বিকালে কিছু সময়ের জন্য ভোটাদের ভুগিয়েছে বৃষ্টি। খুলনায় ভোট চলেছে শান্তিপূর্ণভাবেই। বিকাল ৪টার পরও যেসব কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে ভোটার ছিল, তাদের ভোটগ্রহণ শেষ করেই কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা হবে।
অবশ্য দুই সিটিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা ভোট নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
পরে বরিশাল ও খুলনা শিল্পকলা মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করার কথা রিটার্নিং কর্মকর্তারাদের। নির্বাচন কমিশন ধারণা করছে, বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৫-৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে। বরিশাল সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) বলেছেন, শান্তিপূর্ণ এ ভোটে ফলাফল যাই হোক, তা তিনি মেনে নেবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকও ফল মেনে নেওয়ার মানসিকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাতপাখার ভোট নৌকায় পড়ার অভিযোগ করেছেন। বরিশালে জাতীয় পার্টির এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, “বরিশালের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া খুব সুন্দর ভোট হয়েছে। সবখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। আমরা আশা করি, ৫০% এর কম বেশি ভোট পড়বে খুলনা ও বরিশালে।”