।।নিজেস্ব প্রতিবেদক।।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন দুই নগরীর আট লাখের বেশি ভোটার। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ৮টায় দুই নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে ভোটের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।
গাজীপুরের নির্বাচন খানিকটা উত্তাপ ছড়ালেও বরিশাল ও খুলনার এবারের নির্বাচন অনেকটাই নিরুত্তাপ। দুই নগরেই মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিই বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বরিশালে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন লড়ছেন। খুলনা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন লড়ছেন।
বরিশালের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এসব কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে বরিশাল জেলা শিল্পকলী একাডেমি থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ফল ঘোষণা করা হবে।