যাযাবর পলাশ
বিনোদন ডেস্ক
ছেলেবেলায় ছড়া বা কবিতা লেখা ছিল প্রচন্ড নেশার মতো। যেগুলো প্রকাশ পেতো স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। একসময় বড়ভাই গীতিকার ও সাংবাদিক এস এম শফিউল বারী রাসেলের উৎসাহে গান লেখার নেশা মাথায় চাপে তার। আর এই নেশা ঘোরেই একসময় বাবার পথে পা বাড়ান তিনি। বলছি এই সময়ের ব্যস্ততম গুণী গীতিকবি এস এইচ সোহেল শাহ’র কথা।
প্রখ্যাত গীতিকবি শামসুদ্দিন হীরা’র ছেলে তিনি। তবে বাবার পরিচয়ে নয়, নিজের মেধা দিয়ে নিজের মতো করেই সঙ্গীতাঙ্গনে জায়গা দখল করে নিয়েছেন সোহেল শাহ্। এমনকি গানের নেশায় শিক্ষকতা পর্যন্ত ছেড়েছেন দারুণ প্রতিভাবান এই তরুণ গীতিকবি। সূত্র মতে, ২০০১সালে সঙ্গীত জগতে পা রাখলেও ২০০৪সাল থেকে একজন গীতিকার হিসেবে পরিপূর্ণভাবে কাজ শুরু করেন এস এইচ সোহেল শাহ। তার কথা মালায় ‘নামাজ’, ‘মিয়া বাড়ির মেয়ে’, ‘সেদিন ফাগুনের দিন ছিলো’ শিরোনামের গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এ পর্যন্ত তার গীতিকথায় বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে প্রায় আড়াই শতাধিক গান বাজারে এসেছে। যে গানগুলো গেয়েছেন নোলক বাবু, ইমন খান, রাজু মন্ডল, স্মরণ, মুনিয়া মুন, গামছা পলাশ, শাহিন খান, শিল্পী বিশ্বাস, ফারদিন খান, রুমী খান সহ আরও অসংখ্য জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। বর্তমানে তার গীতিকথায় ১০-১২টি ডুয়েট এবং ২৫-৩০টি সিংগেল গানের সঙ্গীতায়োজনের কাজ চলছে। মনির খান, সামস ভাই, সাথী খাঁন, ইমন খান, রাজু মণ্ডলসহ এই প্রজন্মের বেশকিছু জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এই গানগুলোতে কণ্ঠ দেবেন বলে জানালেন তিনি। সামনে গান নিয়ে আরও অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে তার।
উল্লেখ যে, মিডিয়াতে গীতিকবির পাশাপাশি একজন এডিটর হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। গীতি কবিতায় নিজের পথচলা ও ব্যস্ততা নিয়ে সোহেল শাহ্ বললেন- আমি এখন পুরোটাই গানের মানুষ। আমার রক্তের সাথে গান মিশে আছে। গানের বাইরে অন্যকিছু আর মাথায় নেই। আগামীতেও শুধু গান নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। সবাই পাশে থাকবেন আশাকরি।
বিডে/কেএইচ/তারিখ:১০০৬২৩/১৫;৫৯