।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো এবং সহিংস বিক্ষোভের পরিকল্পনাকারী ও মূলহোতাদের শাস্তি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বুধবার (৭ জুন) রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বার্ষিক বৈঠকের পর এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়, নাশকতাকারী এবং উস্কানিদাতের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী ও তাদের মূল হোতাদের চেপে ধরার সময় এসেছে। তার এর মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জঘন্য উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছিল।
অনেকেই মনে করেন এই বিবৃতিতে মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ইঙ্গিত করা হয়েছে। পরোক্ষভাবে তাদের দমন করার হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই বিবৃতি।
গত ৯ মে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই গ্রেপ্তারের পর রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর, লাহোরের কর্পস কমান্ডারের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ইমরান সমর্থকদের দায়ী করে আসছে সেনাবাহিনী।
গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল অসিম মুনির। ইমরান খানের সঙ্গে তার দূরত্ব পুরনো। ইমরান খান দাবি করেছেন, তার ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।