।। ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক ।।
ইউক্রেনে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ ধেসে পড়ে বন্যার পানি ছড়াতে শুরু করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, নোভা কাকোভকা বাঁধটি ধ্বংস হওয়ায় ৮০টি গ্রাম ও শহর প্লাবিত হতে পারে। বাঁধটি ধ্বংসের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন তিনি। তবে নিজেদের দখল করা অঞ্চলের এই বাঁধটি ধ্বংসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, ইউক্রেনে গোলাবর্ষণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ডিনিপ্রো নদীতে পানি বাড়ছে। বলা হচ্ছে খেলসন শহর ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। কাকোভকা বাঁধটি বিশাল জলাধারের পানি আটকে রাখে। এটি ওই অঞ্চলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। এথেকে পানি পায় কৃষক ও বাসিন্দারা, এমনকি ঝাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রও এখান থেকে পানি সংগ্রহ করে। এছাড়া এটি রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ায় পানি পৌঁছাতেও ব্যবহার হয়।
ইউক্রেনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রশাসক সতর্ক করে বলেছেন, জলাধারটি শুন্য হয়ে পড়তে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আরও নিচের দিকের এলাকার মানুষ বাস ও ট্রেনে করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। এরমধ্যে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রয়েছে ১৭ হাজার আর রুশ নিয়ন্ত্রিত পূর্বে রয়েছে ২৫ হাজার।
ইডে/কেএইচ/০৭০৬২৩/১১;১১