মোঃ বিপুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার।।
বৃষ্টি না হওয়ার ফলে তাপপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। দেশে অন্যান্য জেলার ন্যায় উত্তর অঞ্চলের লালমনিরহাট জেলায় গ্রীষ্মের টানা তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। দিনে রোদ ও গরমে খাঁ খাঁ চারদিক রাতেও কমে না ভ্যাপসা গরম। টানা দশ দিনের অধিক সময় ধরে চলছে গরমের তীব্রতা আর অন্যদিকে বিদ্যুৎ লোডশেডিং তো আছেই। এতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোদের তীব্রতার কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। আবার কিছু মানুষ গাছের ছায়ার নীচে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। যার কারণে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরের অলিগলি ও হাট বাজারে মানুষের উপস্থিতি কমেই মিলছে। আর এই ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। ভ্যান চালাক, রিকশাওয়ালা, সিএনজি, অটো চালক, বাস ড্রাইভার, হেলপার, ছোট পান, মুদির দোকানদারসহ বিভিন্ন পথে ঘাটে হকার ও ক্যানভাসারা।
লালমনিরহাট সদরের পূর্ব আমবাড়ি গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান- প্রচন্ড রোদের মধ্যেও তিনি কষ্ট করে জমিতে কাজ করছেন। পাশাপাশি একটু স্বস্তির বৃষ্টির অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী এক মাসের দেয়া পূর্বাভাসে বলেছে, এই জুন মাসে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে।
লালমনিরহাটে গত ১তারিখ হতে ৬তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.২ থেকে ৩৮.৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের
এমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন- “এবার গরমে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে- যাদের মধ্যে বেশি ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। আমরা যাথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের যথেষ্ট সেবা দিতে।”