আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

বিজ্ঞানের জয়গান শোনালেন সন্তান হত্যায় ক্ষমা পাওয়া নারী

বিজ্ঞানের জয়গান শোনালেন সন্তান হত্যায় ক্ষমা পাওয়া নারী

।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।

২০ বছর পর নিজের চার সন্তান হত্যায় ক্ষমা পাওয়া এক অস্ট্রেলিয়ার নারী বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞান এবং সত্যের জয়। সোমবার কারাগার থেকে মুক্তি পান ক্যাথলিন ফোলবিগ নামের ওই নারী। নতুন প্রমাণে ইঙ্গিত মিলেছে ওই নারী নিজের চার সন্তানকে খুন করেননি, তাদের মৃত্যু ছিল প্রাকৃতিক।

ক্যালেব, প্যাট্রিক, সারাহ এবং লরা নামে ১৯ দিন থেকে ১৯ মাস বয়সী চার সন্তানকে হত্যার দায়ে ২০০৩ সালে ৫৫ বছর বয়সী ফোলবিগকে ২৫ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। সম্প্রতি ওই আদালতের বিবেচনা করা প্রমাণে যৌক্তিক সন্দেহ পোষণ করে নতুন এক তদন্ত। এই তদন্তে উঠে এসেছে বিরল জেনেটিক অস্বাভাবিকতায় সন্তানদের মৃত্যু হয়।

ফোলবিগের চার সন্তান ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে হঠাৎ করে মারা যায়। বিচারে প্রসিকিটররা জানান ওই নারী দম বন্ধ করে দিয়ে শিশুদের খুন করেন। ২০১৯ সালে পৃথক এক তদন্তে ওই মামলায় সন্দেহের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ক্যাথলিনের বিরুদ্ধে আরও জোরালো পারিপার্শ্বিক প্রমাণ সামনে আসে। তবে নতুন তদন্তে দেখা গেছে, তার চার সন্তান ভিন্ন ভিন্ন বিরল জিন বহন করতো। এই জিন আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের জন্য দায়ী।

মুক্তি পাওয়ার পর ফোলবিগ বলেছেন তিনি আপ্লুত এবং কৃতজ্ঞ। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে আমি কারাগারে, সব সময় সন্তানের চিন্তা ও শোক আমার ছিল, আছে, এবং সবসময় থাকবে। এই পুরো অগ্নিপরীক্ষায় আমি তাদের ছাড়া টিকে থাকতাম না।’

কারাগারের সামনে ফোলবিগের সঙ্গে দেখা করেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ট্রাসি চ্যাপম্যান। তিনি জানান, স্বাভাবিক আনন্দ উপভোগের মধ্য দিয়ে মুক্তির প্রথম দিনগুলো কাটাবেন তারা। এর মধ্যে আছে আরামদায়ক বিছানা, পিৎজা ও গার্লিক ব্রেড, কোক। স্মার্টফোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভীতি আছে বলেও জানান তিনি। চ্যাপম্যান আরও বলেন, ফোলবিগের হৃদয়ে ঘুণা নেই, তিনি কেবল গত কুড়ি বছর ধরে হারানো জীবন যাপন করতে চান এবং সামনে এগিয়ে যেতে চান।

আইনজীবী রানহি রিগো বলেন, ফোলবিগ এখন আপিল আদালতে তার দণ্ড বাতিলের আবেদন করবেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ড্যালি জানিয়েছেন, ফোলবিগকে শর্তহীন ক্ষমা করা হয়েছে। নতুন তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক টম বার্থহার্স্ট। বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে গঠিত দলটি দেখেছে ফোলবিগের মেয়েদের সিএএলএম২ জি১১৪আর নামে বিরল জিন ছিল। এর কারণে হঠাৎ করে হৃযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া আরও দেখা গেছে, তার ছেলে ভিন্ন এক জিন বহন করতো যা ইঁদুরের হঠাৎ মৃত্যুর জন্য দায়ী।

ইডে/কেএইচ/তারিখঃ ০৬০৬/১২:০৭

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights