আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

৪ সন্তান হত্যা: কারাদণ্ড থেকে নারীর মুক্তি

  • In আন্তর্জাতিক
  • পোস্ট টাইমঃ ৫ জুন ২০২৩ @ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৫ জুন ২০২৩@১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
৪ সন্তান হত্যা: কারাদণ্ড থেকে নারীর মুক্তি
ছবি- সিএনএন

।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।

এক সময়ে ‘অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জঘন্য নারী সিরিয়াল কিলার’ আখ্যা পাওয়া এক নারী কারাদণ্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন। নতুন প্রমাণে ইঙ্গিত মিলেছে ওই নারী নিজের চার সন্তানকে খুন করেননি। ক্যাথলিন ফোলবিগ ২০ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।

কয়েক দশক আগে ক্যাথলিন ফোলবিগের বিরুদ্ধে চার সন্তান ক্যালেব, প্যাট্রিক, সারাহ এবং লরাকে খুনের অভিযোগের প্রমাণ মেলার পর তাকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে সম্প্রতি পরিচালিত এক তদন্ত বলছে, বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ওই শিশুদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

৫৫ বছরের ক্যাথলিন বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। তবে চার সন্তানকে খুনের ঘটনায় ২০০৩ সালে তাকে ২৫ বছরের দণ্ড দেয়া হয়। প্রতিটি সন্তান ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে হঠাৎ করে মারা যায়। মৃত্যুর সময় তাদের বয়ন ১৯ দিন থেকে ১৯ মাস পর্যন্ত ছিল। বিচারে প্রসিকিটররা জানান ওই নারী দম বন্ধ করে দিয়ে শিশুদের খুন করেন।

আগের আপিল এবং ২০১৯ সালে পৃথক এক তদন্তে ওই মামলায় সন্দেহের কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ক্যাথলিনের বিরুদ্ধে আরও জোরালো পারিপার্শ্বিক প্রমাণ সামনে আসে।

তবে নতুন তদন্তের পর প্রসিকিউটররা মেনে নিয়েছেন জিন পরিবর্তনের ওপর করা গবেষণা শিশুদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে আগের বোঝাপড়া বদলে দিয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের (এনএসডব্লিউ) অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ড্যালি সোমবার এক ঘোষণায় বলেছেন, ক্যাথলিনের প্রতিটি অপরাধের প্রতি যৌক্তিক সন্দেহ পোষণ করার মতো জোরালো মত প্রকাশ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক টম বাথহার্স্টের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দল।

এর ফলে এনএসডব্লিউ গভর্নর ক্যাথলিনের পূর্ণ মুক্তির আদেশে সই করেছেন এবং তাকে অবিলম্বে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। তবে শর্তহীন এই ক্ষমা ক্যাথলিনের নির্দোষিতার প্রমাণ নয় বলে জানিয়েছেন ) অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল ড্যালি। মামলাটি যদি আপিল আদালতে পাঠানো হয়, তাহলে সেখানেই তিনি চূড়ান্তভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হতে পারবেন।

মামলাটির নতুন তদন্ত শুরুর আগে বিজ্ঞানীদের একটি দল দেখতে পায় ক্যাথলিনের মেয়ে ভিন্ন ধরনের এক জিন করতেন। এই জিন আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের জন্য দায়ী। অন্য সন্তানদেরও ভিন্ন ভিন্ন জিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

ইডে/এসআর/তারিখ:০৫০৬২৩/১০:৪৪

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights