।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
ফিলিস্তিনিদের জন্য ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ২০২৩ সালের জন্য “ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ)”-তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী কার্যালয় শনিবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন স্বরুপ ২০১৮ সাল থেকে ইউএনআরডব্লিউএ-তে এ অনুদান দিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের জন্য সম্মেলনটি আহবান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেশী। এতে সদস্য দেশগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তাদের জন্য নিবেদিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কার্যাবলীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্রিফ করেন ইউএনআরডব্লিউএ-এর কমিশনার জেনারেল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ডঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ঘোষণা করেন। তার বক্তব্যে ইউএনআরডব্লিউএ এর চলমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি “টেকসই, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত” তহবিল সুরক্ষার উপর জোর প্রদান করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে শুধু আর্থিক সমর্থন প্রদান করা সমাধান নয়, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হল ১৯৬৭-এর পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান অর্জনের মাধ্যমে ইসরায়েলি অবৈধ দখল দারিত্বের অবসান ঘটানো।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজুলেশনের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের দুর্দশার ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য একটি মানবিক এবং উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএনআরডব্লিউএ। বর্তমানে এই সংস্থায় শরণার্থী হিসাবে ৫.৯ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি নিবন্ধিত রয়েছে।
এমকে/তারিখ:০৩০৬২৩/১৮:৫৭