মো. লিটন হোসেন
নাটোর প্রতিনিধি।।
নাটোরের বাজারগুলোতে আবারও পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়ে ২০০ ছুঁইছুঁই। কাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শহরের বিভিন্ন বাজারগুলো প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হঠ্যৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর শহরের স্টেশন বাজার, নিচাবাজার, মাদ্রাসা মোড় এলাকার সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খূচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।
নিচাবাজারে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা নাদিম হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশি পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহে আগে পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। হঠ্যৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই হুহু করে দাম বেড়ে চলেছে। গতকাল দেশি পুরানো পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খূচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাবিব হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ বন্ধের খবরে দাম বেড়েছে। কোনো পূণ্যের দাম ঘোষণা হলেই নির্ধারণের আগে আড়তে সব পূণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর আগে খূচরা পর্যায়ে ৯০-১০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। বেশি দামে কিনে, বেশিতেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত তিনদিন আগেও ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনলাম। আজ বাজারে এসে হঠ্যৎ শুনলাম পেঁয়াজের দাম ১৯০ টাকা। সামান্য মসলা পূণ্য যদি ২০০ টাকা কেজি কিনতে হয়, তাহলে অন্যান্য জিনিসপত্র কি দিয়ে কিনবো।
আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা কেউ চিন্তা করে না। সরকারের উচিৎ পেঁয়াজসহ এসব পূণ্য দাম বেঁধে দেয়া।
ভ্যানচালক আফজাল হোসেন বলেন, সবজি কিনতে এসে শুনলাম ২০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ। গত দুদিন আগে ১৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে দেয়, দেখার মতো কেউ নেই। আমরা চাল কিনবো না, পেঁয়াজ কিনবো।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার মনিটরিং শুরু করেছে। কোনো ব্যবসায়ী আগের দামে কেনা পেঁয়াজ, বর্তমানে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে জরিমানা প্রদান করছে।