মেহেদী হাসান সোহাগ
মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
কালকিনি উপজেলার পাঁচজন কমান্ডারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কালকিনি উপজেলার সিডিখান, নায়েতনগর, সমিতিরহাট ছাড়াও পাশের বরিশালের গৌরনদী ও মুলাদী উপজেলা ও কালকিনির সীমান্তবর্তী ৩টি স্থানে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে ৮ ডিসেম্বর কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত করা হয়। এই উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা প্রশাসন দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কালকিনি ত্যাগ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর ৮ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।
১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আটকে পরা পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ২২ দিন যুদ্ধ হয় বরিশালের গৌরনদী এলাকায়। সেখানেও অংশগ্রহণ করে মাদারীপুরের কালকিনির মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটায় ক্যাম্প স্থাপন করে পাকিস্তানি বাহিনী। সেখানে মানুষ ধরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত পাকিস্তানি বাহিনী। ব্রিজের নিচের পানি মানুষের লাল রক্তে রঞ্জিত হওয়ায় পরে এই ব্রিজের নাম হয় লালপোল বা লালব্রিজ যা এখনও মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত।
কালকিনি উপজেলার বালীগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার বলেন সামচুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, বর্তমান প্রজম্ম মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। তাদের জন্য কালকিনিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে একটি জাদুঘর করলে ভালো হয়।
কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মালেক হাওলাদার বলেন, এই দেশ আজ কলঙ্গ মুক্ত হলেও কিছু রাজাকারের মত মানুষ রয়েছে যারা এখনো রাজাকারের মতই আচরন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।