জাবির জাহিদ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে স্থানীয় কৃষকেরা আমন ফসল ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে। কৃষকের কেটে রাখা আমন ধান ঘরে তুলতে না পারায় খেতে নষ্ট হচ্ছে। জমিতে বিছিয়ে রাখা খড় পচে যাচ্ছে।এদিকে বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা তাদের রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ফসলের মাঠগুলোতে শাকসবজি, আলু, সরিষা ও রোপা আমন ধান রয়েছে। এর মধ্যে মাঠে থাকা ৭৮ ভাগ ধান গতকাল পর্যন্ত কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।করিমগঞ্জ উপজেলার খয়রত গ্রামের কৃষি খামারি মো: ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া পাঁচ একর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছিলেন। অর্ধেক ধান তার কাটা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ধান জমিতে পড়ে রয়েছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ধানগুলো নিয়ে চিন্তায় আছি। বৃষ্টি না থামলে দু-একদিনের মধ্যে এগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।’
পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের কৃষক কিরণ মিয়া বলেন, ৪০ শতক জমিতে আমার আলু ফসল আছে। এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষক বেশি বিপাকে পড়েছেন আমন ধান নিয়ে। বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে গেলেও এগুলো বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারছেন না। জমিতে নষ্ট হচ্ছে। খড়গুলো পচে যাচ্ছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে রবি ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে শাকসবজি, আলু ও সরিষার ক্ষতির আশঙ্কা আছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে কিশোরগঞ্জে এবার ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আম চাষ করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৭৮ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।
জেলায় সবজি চাষ হয়েছে সাত হাজার হেক্টর, সরিষা চাষ হয়েছে ৮ দশমিক ৭০০ হেক্টর ও আলু চাষ হয়েছে।