।।বগুড়া প্রতিনিধি।।
বগুড়া শহরে সাবেক কাউন্সিলরের ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরদিন শাজাহানপুর উপজেলার দরিনন্দ সাতবিলা এলাকা থেকে আরেক ব্যক্তির জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুটি নৃশংস খুনের ঘটনার সম্ভাব্য কারণ এবং জড়িতদের চিহ্নিত করতে ছায়া তদন্ত চলছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে শাজাহানপুরের মাদলা ইউনিয়নের দরিনন্দ গ্রামের একটি মরিচখেত থেকে আপেল মাহমুদ (৩২) নামের এক ইজিবাইক চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মৃত পিন্টু মিয়ার ছেলে। এরআগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকায় আরিফুল হাসান আরিফ (২৪) নামের যুবককে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আরিফ বগুড়া পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আরিফ তার মাকে নিয়ে সুলতানগঞ্জ পাড়ায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ১৫ দিনপূর্বে মা-ছেলে সেখানে বাড়ি ভাড়া নেন। সে একটি মামলায় জেল-হাজতে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আরিফের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকান্ড তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘটনার সম্ভাব্য কারণ এবং জড়িতদের চিহ্নিত করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
এদিকে শাজাহানপুরের দরিনন্দ গ্রামের একটি মরিচখেতে ইজিবাইক চালকের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আপেল মঙ্গলবার দুপুরে গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, তিন বছর ধরে আপেল বগুড়া সদরের নারুলি উত্তরপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। চেলোপাড়া হরিবাসর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে ইজিবাইক নিয়ে চালাতেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ইজিবাইক এখনো উদ্ধার হয়নি। লাশের গলা ও পায়ের রগ কাটা ছিল। তার পেটে ব্লেড দিয়ে লম্বা পাঁচটি টান দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।