আজ ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

  • In আইন ও অপরাধ, সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ @ ১০:১৭ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৩ ডিসেম্বর ২০২৩@১০:১৭ অপরাহ্ণ
স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

।।রংপুর মহানগর প্রতিবেদক।।

রংপুরে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর হাজিরহাট এলাকার মুছিরমোড় ছ্যাপরা বটেরতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় শনিবার রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগী নারীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত হলেন, হাজিরহাট থানাধীন হরিরামপুরের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম রানা (৩৩), উত্তম ডাক্তারপাড়া এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২), রণচন্ডী মন্থনা এলাকার মজিবর হোসেনের ছেলে বুলু হোসেন (২৫), রণচন্ডি রায়পাড়া এলাকার আজিবর রহমানের ছেলে আলমঙ্গীর হোসেন (৩১) ও উত্তম মধ্যপাড়া এলাকার সাদেক আলীর ছেলে ছামসুল ইসলাম (৩২)। তবে ২নং আসামী উত্তম মৌলভীপাড়া এলাকার হাসেন আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (২৮) পলাতক রয়েছে।

আবু মারুফ হোসেন জানান, আরপিএমপি’র হাজিরহাট থানাধান মুছিরমোড় ছ্যাপরা বটেরতল এলাকায় ছাগল চুরির অভিযোগে এক নারী ও তার স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করে ওই এলাকার কয়েকজন যুবক। পরে রাত ১০টার দিকে একটি টিনের চালার খুটির সাথে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন তারা। পরে গভীর রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী হাজিরহাট থানায় অভিযোগ করলে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এই ঘটনার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আরপিএমপি তাজহাট থানা এলাকার স্বামী-স্ত্রী দুজনে জীবিকার তাগিদে ভাংরির মালামাল কুড়ানোর জন্য ওই এলাকায় যায়। দুপুর ১টার দিকে ৩নং আসামী জাহিদুল ইসলামের ছ্যাপরা বটেরতল এলাকার ব্যবসায়ীক মালামাল রাখার স্থানে ছাগল চুরির অভিযোগ এনে তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখে। পরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্বামীকে বেঁধে রেখে পর্যায়ক্রমে ৬জন আসামী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

আরপিএমপি’র হাজিরহাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাজিব বসুনিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতেই ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তবে ২নং আসামী হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights