মোহাম্মদ বাইজি
স্টাফ রিপোর্টার।।
গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল বেলা পিতা, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাওয়ানোর জন্য বাজার থেকে কিছু ড্রাগন ফল কিনে বাসায় এনে ছোট্ট বাচ্চা নোমানকে কেটে খেতে দেয়, তার আধা ঘন্টা পরেই সে অসুস্থ হয়ে যায়।
তার বাবা তাড়াহুড়া করে শিশু হসপিটালে নিয়ে যায়, ওখান থেকে ছোট বাচ্চা নোমানকে খুলনা মেডিকেল হসপিটাল নিয়ে যেতে বলে। খুলনা মেডিকেল হসপিটালের চিকিৎসক জানা, এ ফলে অতিরিক্ত জেব্রেলিক এসিড ট্যাবলেট গুলিয়ে স্প্রে করা হয়েছে, তার জন্যই অতি দ্রুত বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
দু’দিন হসপিটালে থেকে আজ শনিবার (২ ডিসেম্ববর) সকালে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
তার বাবা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিডিহেডলাইন্স ২৪ ডটকম কে বলেন, বাচ্চাকে ড্রাগন ফল খাইয়ে হসপিটালে নিয়ে যেতে হয়েছে, সবাই যেন ড্রাগন ফল খাবার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করে।
তিনি আরো বলে, ড্রাগন ফলের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য ড্রাগন ফল নিয়ে এখনও অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে, যা গত কয়েক বছরে সাধারণ জনগণের জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে।
এই ফলের নামকরণ করা হয়েছে এর গঠন অনুসারে। বাংলাদেশ ড্রাগন ফল হিসাবে পরিচিত ৷ কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা ড্রাগন ফলের নামে বাচ্চাদের বড়দের বিষ খাইয়ে দিচ্ছে এই ড্রাগন ফল তাজা রাখার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নানা রকম স্প্রে এবং ফলকে সুন্দর ও চকচকে রাখার জন্য এরা নানাভাবে রং ও অয়েল দিয়ে সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে।
এটি বিশ্বের অনেক জায়গায় ক্যাকটাস ফল নামেও পরিচিত এর স্বাদ মিষ্টি, তবে এই ফলটি তাজা হলে আরও বেশি আনন্দ দেয়, আর এই ফল তাজা রাখার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফলে স্প্রে করে বিষ খাওয়াচ্ছে সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কথা বলতে গেলে তারা কথা বলতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করে।