।।হিলি প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের হিলিতে প্রথমবার বস্তায় আদা চাষ করে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন কৃষক রোকনুজ্জামান।
উপজেলার নয়ানগর গ্রামে নিজের লিচু বাগানে ২৭০টি বস্তায় আদা রোপন করেছেন তিনি। বস্তাপ্রতি তার খরচ হয়েছে ৫০ টাকা করে। এই আদা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বস্তাপ্রতি বিক্রির আশা করছেন তিনি।
সীমান্তে ঘেঁষে হিলির নয়ানগর গ্রামে লিচু বাগানে পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করে এলাকায় আলোড়ন তৈরি করেছেন কৃষক রোকনুজ্জামান। সখের বসে প্রথমে ২৭০টি বস্তায় নিজ লিচু বাগানে আদা চাষ করেছেন। বর্তমান আদার ফলন ভাল হওয়াতে আরও ৫ হাজার বস্তায় আদা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কৃষি অফিস প্রতিনিয়ত তার আদা চাষ দেখভাল করছেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করছে। তার আদা চাষে সাফল্য দেখে এলাকাবাসীও আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
রাজ্জাক নামের এক জন এলাকাবাসী বলেন, আমি রোকনুজ্জামান ভাইয়ের লিচু বাগানে বস্তায় আদা চাষ দেখতে এসেছি। আমার জমিতে প্রায় আদা চাষ করে থাকি। কিন্তু তেমন ভাল ফলন হয় না। তবে তার বাগানের মধ্যে বস্তায় আদা চাষ দেখছি অনেক ভাল হয়েছে। আমিও চিন্তুা করছি। তার মতো বস্তায় আদা চাষ করবো।
গ্রামবাসী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা রাফিউল বলেন, বর্তমান বাজারে আদার কেজি ২০০ টাকার উপরে। আদা চাষ করলে হয় তো আমাকে আর আদা কিনতে হবে না। নিজের চাহিদা পুরন করে অন্যের চাহিদাও পুরন করতে পারবো।
গ্রামবাসী নাসিমা বলেন, রোকনুজ্জামান ভাই বাগানের ভিতর আদা চাষ করেছে। এতে বাড়তি তেমন জায়গার প্রয়োজন হয়নি। আমিও আমার বাড়ীর ছাদে বস্তায় আদা চাষ করবো।
আদাচাষি রোকনুজ্জামান বলেন, প্রথমে আমি সখের বসে এবং পরীক্ষামুলক নিজ লিচু বাগানের ভিতর ২৭০ টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। বর্তমান প্রতিটি বস্তায় আদার ভাল ফলন দেখতে পাচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিস আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। আমি আগামীতে আরও ৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করার পরিকল্পনা করছি। আশা করছি আমি সফল হবো। এছাড়াও আমার এই আদা চাষ দেখে অনেকেই উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, প্রথম বারের মতো উপজেলার নয়ানগর গ্রামে লিচু বাগানে বস্তায় আদা চাষ করেছেন কৃষক রোকনুজ্জামান। আমরা প্রতিনিয়ত তার বাগান পরিদর্শন করছি। আদার ফলন অনেক ভাল হয়েছে। আগামীতে আরও আদার চাষ বেশি করবেন এই কৃষক। আদার দাম বেশি হওয়াতে আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে উপজেলার কৃষকেরা।