আজ ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘সুন্দরী’ নারী মেলে রামুর মিম হোটেলে

  • In অনুসন্ধান
  • পোস্ট টাইমঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৩ @ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৩@১১:১০ পূর্বাহ্ণ
‘সুন্দরী’ নারী মেলে রামুর মিম হোটেলে

।।কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

কক্সবাজারের রামু উপজেলার অন্যতম ব্যাস্ত ষ্টেশন চৌমুহনী। এর প্রবেশমুখেই আবাসিক হোটেল মিম। মাদক সেবন ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে চৌমুহনীর আবাসিক হোটেল মিম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই হোটেলে ঘণ্টা চুক্তিতে রুম ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, সরকার দলীয় এক নেতার নাম ব্যবহার করে প্রশাসনের অসাধু কতিপয় কর্তাব্যক্তিও সাংবাদিক নামধারী বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করেই চলছে এ ধরণের কর্মযজ্ঞ। সরকার দলীয় নেতার মালিকাধীন হোটেলটি হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক ও দালালরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল অবৈধ মেলামেশার নিরাপদ স্থান বর্তমানে রামু চৌমুহনীর আবাসিক হোটেল মিম। আ.লীগ নেতার হোটেল হিসেবে পরিচিতি থাকায় চিহ্নিত পতিতাবৃত্তি করা এই হোটেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর নেই বললেই চলে।

অভিযোগ আছে, এ হোটেলে প্রেমিক যুগলকে নাম-ঠিকানা এন্ট্রি ছাড়া রুম ভাড়া দিয়ে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে আদায় করা হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা। শুধু অনৈতিক কর্মকান্ড নয় এ হোটেলে বসে মাদকের আসর। এদের বেশিরভাগই নিরাপদে ইয়াবা সেবনের জন্য হোটেলের রুম ঘন্টা চুক্তিতে ভাড়া নেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক জানান, কয়েক মাস আগে আমার স্কুল পড়ুয়া এক আত্মীয় হোটেলে উঠতে দেখেছি। পরে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন তরুণী ছোট ছোট ড্রেস পড়ে অপেক্ষা করছেন। বেশকিছু খদ্দরের আনাগোনাও দেখা গেছে সেখানে। এ সময় ভাড়াটিয়া মালিক ইলিয়াস পাশা অফার দিয়ে বলেন, দাদা আপনি যাবেন? একবার গেলে ৫০০ টাকা। চাইলে যে কাউকে নিয়ে যেতে পারেন আপনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক কারবারিরা হোটেলটিতে অবস্থান নেন মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মাদক বিক্রির সময় চৌমুহনীর এই মিম হোটেলে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। তারা হলেন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহির পাড়ার আক্তার উল আলম প্রকাশ বাবুল মিস্ত্রির ছেলে জাহিদুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিছামারা এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে
ইকবাল ও অপরজন একই এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে মঞ্জুর আলম। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৮শত পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, হোটেলটি এক আ.লীগ নেতার। মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা জাকের আহম্মদের ছেলে ইলিয়াস পাশা কয়েক বছর আগে সেটি ভাড়া নিয়েছেন। এরপর থেকে দিনে-রাতে অবাধে চলিয়ে আসছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এছাড়াও হোটেলটি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হোটেলের মালিক ইলিয়াস দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দরিদ্র পরিবারের নারীদের টার্গেট করে প্রথমে নানান প্রলোভন দেখান। পরে পতিতাবৃত্তিতে নামিয়ে দেন। প্রতিদিনই রোহিঙ্গা, স্কুল, কলেজ ছাত্রীদেরও এনে দেহ ব্যবসায় সম্পৃক্ত করা হয়। রেজিস্ট্রার খাতায় বোর্ডারের নাম-ঠিকানা লিখার নিয়ম থাকলেও তা মানেন না।

এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত হোটেল মালিক ইলিয়াস পাশা পতিতাবৃত্তির ও মাদকের আসর বসার বিষয়টি অস্বীকার নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

হোটেলটিতে অসমাজিক কর্মকান্ডের ব্যপারে জানতে চাইলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান বলেন, চৌমুহনীতে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেখানে অসমাজিক কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ আগে অবগত করেনি। তবে যখন জেনেছি আমি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেবো

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights