।।বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক।।
বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ভাগ মানুষ প্রতি রাতে অনাহারে ঘুমান। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, এক বছর আগে অনাহারে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার চেয়ে এখন ৪কোটি ৬০লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২কোটি ৮০লক্ষ তে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বে এক দশকেরও বেশি সময়ে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
এফএও এর তথ্যানুসারে- অনাহারে থাকা ঘুমাতে যাওয়া মানুষের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। তাদের শতকরা ৮০ভাগ জলবায়ু পরিবর্তনপ্রবণ এলাকায় বসবাস। শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে প্রলম্বিত সময়ের জন্য বঞ্চিত হলে তাকে ক্ষুধা হিসেবে ধরা হয়। দীর্ঘ সময়ের এই অবস্থায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা সারাজীবনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
খাদ্য সংকটের ফলে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের শরীরে শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক দশক ধরে এই ক্ষুধা বা খাদ্যাভাব কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা আবার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এফএও-এর তথ্য বলছে, ২০১৯থেকে ২০২১সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ১৫কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য দায়ী যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক আঘাত ও করোনা মহামারি।
জাতিসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুসারে, এশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বসবাস। এই মহাদেশে ২০২১সালে ৪২কোটি ৫০লাখ মানুষ অনাহারে কাটিয়েছেন। তবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। ওই বছর তাদের সংখ্যা ২৭কোটি ৮০লাখ। যেসব মানুষ খাদ্যের মারাত্মক সংকটে ভুগছেন, তাদের জীবন ও জীবিকা অত্যাসন্ন বিপদের মুখে পড়েছে। ২০২২সালে চতুর্থ বছরের মতো তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।