আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ৪ অভ্যাস

  • In লাইফস্টাইল
  • পোস্ট টাইমঃ ২৪ অক্টোবর ২০২৩ @ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৪ অক্টোবর ২০২৩@১২:৩৫ অপরাহ্ণ
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ৪ অভ্যাস

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রায় সব মানুষের মনে দুশ্চিন্তা আসবেই। কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের মন ও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর কারণে সৃষ্ট হতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই দুশ্চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এটি এমন এক সমস্যা যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। এই সমস্যা এড়াতে কিছু কাজ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৪টি অভ্যাস সম্পর্কে জেনেনেই-

১. মনোযোগের অভ্যাস তৈরি

মনোযোগের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এতে দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়‌। দুশ্চিন্তার সময় আমরা অতীত নয় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। সেটা না ভেবে সেই মুহূর্তে চোখের সামনে যা আছে তাতে মন দিতে হবে। এতেই তৈরি হবে মনোযোগের অভ্যাস।

২. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন

দুশ্চিন্তাকে মাথা থেকে দূরে রাখতে হলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক এবং হাত ব্যস্ত থাকে এমন কোন কাজ করুন যেমন গেম খেলুন বা কোন হস্তশিল্প তৈরি করুন। বলা হয়ে থাকে, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।’ এটি কিন্তু বাস্তবিকই সত্য। আপনি কোনো কাজ না করে অলসভাবে শুয়ে বসে থাকলে হতাশা আর দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘিরে ধরবে- এটাই স্বাভাবিক। তাই যে কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

৩.পর্যাপ্ত ঘুম

রোজ অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। ঘুম দুশ্চিন্তা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।‌ একই সঙ্গে মন শান্ত রাখতেও ভূমিকা রাখে পরিমিত ঘুম‌। ঘুম পর্যাপ্ত হলে তা দুশ্চিন্তা দূর করতে জাদুকরি ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে মনও শান্ত থাকে। তাই ঘুম যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ঘুম ভালো হলে আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

৪. প্রাণ খুলে হাসুন

২০০৫ সালে পরিচালিত গবেষণায় জানা যায়, সবসময় গম্ভীর থাকার বদলে প্রাণ খুলে হাসলে শতকরা বিশভাগ বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়। প্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষকে নিয়মিত হাস্যকর এবং তুলনামূলক গম্ভীর চলচ্চিত্র দেখানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন।

নিয়মিত আমোদ-প্রমোদ হৃৎস্পন্দনের হার বাড়িয়ে দেয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজি’র তথ্যানুসারে, হাসি-ঠাট্টার ফলে দেহের সংবহনতন্ত্র বা বিভিন্ন নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ঠোঁটের কোণে সবসময় এক চিলতে হাসি রাখুন কিংবা পারলে মন খুলে হাসুন।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights