আজ ২রা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

কুড়িগ্রামে স্যালাইন সংকট চরম বিপাকে রোগীসহ স্বজনরা

কুড়িগ্রামে স্যালাইন সংকট চরম বিপাকে রোগীসহ স্বজনরা

জাহাঙ্গীর আলম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।

মূমূর্ষরোগী,সিজারের রোগী ও অসুস্থজনিত কারনে শারীরিক ঘাটতি মেটাতে ডিএনএস স্যালাইনের প্রয়োজন। বেশ কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রামে এ স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেও মিলছে না স্যালাইন।শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় বাইরের ফার্মেসীগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। দু একটি ফার্মেসীতে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মুল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে দুইশ’ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই। এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মোঃ ইউনুস আলী বলেন,আমি আমার ছেলে গত দুদিন ধরে পেট ও জ্বর ভুগছে।সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে।আমি শহরের অনেক ফার্মেসী খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০ টাকা দামে কিনলাম।স্যালাইনের এমন সংকট কোন দিন শুনি নাই।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনও দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠাই। কিন্তু খুবই নগণ্য পরিমাণ সরবরাহ দেওয়া হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।

গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নাই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করবো।যে দু-চারটা স্যালাইন দেয় তা একঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধি বরাত দিয়ে বলছেন, ডলার নাই। কাঁচামাল কিনতে না পারায় স্যালাইন উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।

শুলকুর বাজারে ঔষধ বিক্রেতা মোহাম্মদ রাজু আহমেদ বলেন,অনেকদিন ধরে এই স্যালাইনের সংকট।আমার ফার্মেসীতে নাই।গত এক মাস ধরে স্যালাইনের সংকট। শহরে কোথাও দু-একটি পেলে তা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ বলেন, স্যালাইন সংকট চলছে। তবে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য আমরা কিছু স্যালাইন রেখেছি। বিভিন্ন মাধ্যম ও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি যে, প্রায় জেলাতে এ সংকট চলছে। সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights