আজ ২রা জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আগুন, রক্ষা পেল ৮ শিশু

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ @ ০৪:৫৭ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩@০৪:৫৭ অপরাহ্ণ
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আগুন, রক্ষা পেল ৮ শিশু

মেহেদী হাসান সোহাগ
মাদারীপুর।।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে । আগুনে শিশু ওয়ার্ডে থাকা ৮ শিশু রোগী ও তার অভিভাবকদের কোন ক্ষতি না হলেও আতংক দেখা দেয়।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাসপাতালের পঞ্চম তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল, রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে রোগীর সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা হঠাৎ শিশু ওয়ার্ডের বি-৫ শয্যায় আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পান। এসময় ঐ ওয়ার্ডে থাকা ৮ শিশু ও তাদের সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত পাঁচ তলার ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে আসেন। পরে ওয়ার্ডে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রটি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজন হাসান বলেন, আমরা সবাই ঘুমানো ছিলাম। হঠাৎ ভোরে ধোঁয়া ও পোড়ার গন্ধ নাকে আসে। পরে কোন কিছু না ভেবে আমার মেয়েসহ ঐ ওয়ার্ডে থাকা অন্যরা তাদের শিশুদের নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে যাই। আগুন দ্রুত নেভানো না গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেত। তবে ঐ ওয়ার্ডে থাকা কারো কোন ক্ষতি হয়নি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে শিশু ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। এ সময় ওয়ার্ডে থাকা শিশু ও তাদের স্বজনদের দ্রুত নিচে নামানো হয়। আগুন নেভানো হলে আধাঘন্টা পরেই আবারও রোগীদের শয্যায় ফিরিয়ে আনা হয়। আগুনে ওয়ার্ডে থাকা একটি শয্যার চাদর ও ফোমের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, সিলিং ফ্যান থাকার পরেও একজন রোগীর স্বজন চার্জার ফ্যান ব্যবহার করছিলেন। সেই চার্জার ফ্যান থেকে ওই শয্যার মশারিতে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ার্ডের লোকজনই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চার্জার ফ্যানটি ত্রুটির কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি চার্জার ফ্যান ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights