আজ ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের চিঠিতে সরকার চিন্তত না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

  • In জাতীয়
  • পোস্ট টাইমঃ ২৯ আগস্ট ২০২৩ @ ০৬:১৮ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৯ আগস্ট ২০২৩@০৬:১৮ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের চিঠিতে সরকার চিন্তত না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

।।কূটনৈতিক প্রতিবেদক।।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১০০ জনেরও বেশি নোবেলজয়ীসহ ১৭৫ জন বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি সম্পর্কে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার বলেন যে এই চিঠি নিয়ে সরকার বিচলিত নয়, কোনো চাপেও নেই এবং এই চিঠি সরকারকে কোনোভাবে প্রভাবিত করবে না। বাংলাদেশ-কোরিয়া দুইপক্ষের মধ্যে ৫০ বছর পূর্তিতে রাজধানীর একটি অভিযাত হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, মুক্ত বাকের বিশ্বে যে অবস্থান থেকে যে কেউ কিছু বলতে পারে। যেভাবে বলি না কেন, এখানে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেটা মনে করেন তথ্য-উপাত্তের ভীত্তিতে তাই করেন। বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিচার চলবে। আমরা এটা নিয়ে বিচলিত বা এটা নিয়ে চিন্তিত বা চাপে নাই। এভাবে চিঠি দিয়ে একটি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান দু:খজনক। আমি মনে করি না যারা এই আবেদনে শামিল হচ্ছেন তারা তাদের খ্যাতির প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন। একটা বিচারকে তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, যিনি শত শত হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন, যার সম্পদ আছে তার তো একটা লিগ্যাল ইস্যু থাকতে পারে। তার মানে এই না সে অপরাধী হয়েই যাবে আর সেটা অনুসন্ধান করাই যাবে না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আরো বলেন, বিশ্বের এমন কোনো মানুষ আছেন, যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার তদন্ত করা যাবে না? পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি কি আছেন যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা তদন্ত করা যাবে না বা আদালতে নেওয়া যাবে না? এটা হতাশাজনক যে, একজনকে অব্যাহতভাবে প্রটোকল দেওয়ার জন্য…কিন্তু আমরা বুঝতে পারি। অতীতেও কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মযদা শুধু তার গুনের কারণে হয়েছে, তা নয়। এর পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে। আমি ওদিকে যেতে চাই না। আর এটা সরকারের বক্তব্য নয়, আমার নিজের বক্তব্য।

আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ড. ইউনূসের দূরত্ব কোথায়, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ১/১১ ঘটনা প্রবাহ জানেন। তারপরে গত ১৫ থেকে ১৭ বছরের আমাদের দিক থেকে কিছু নেই। কিন্তু আমরা যেটা দেখেছি, যেটা প্রতিফলন আপনারা আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে। যেখানে দুই পাতা ভাড়া করতে অন্তত:পক্ষে মিলিয়ন ডলার লাগে। সেই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে একটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মতো স্বাক্ষর নেওয়া হয়, যে স্বাক্ষরের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত। তিনি বা তার লোকজন এখনও অর্থ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে ওটার কোনো সম্পর্ক নাই।

ড. ইউনূস ইস্যুতে বিদেশি বন্ধুদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সঠিক তথ্য সরবরাহ করব। অতীতেও আমরা করেছি। এখনও আমাদের দূতাবাসগুলো করে যাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে এটার যতটুকু জানি তুলে ধরব। একটা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার বা আমাদের দূতাবাস বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন করে ব্যাখা বা বলার কিছু নেই। কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন তথ্য-উপাত্তের ভীত্তেতে। আমরা তাদের এ অনুরোধটুকু করব, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। চিন্তার কোনো কারণ নাই।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights