।।খুলনা ব্যুরো।।
খুলনা মহানগরে ভুয়া ডিবির ওসি আল-মামুন এবং ডিবি’র এসআই আকবর পরিচয়ে নগরীর সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সার পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ডে থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ইজিবাইক ও রিক্সার মালিকের নিকট ফোন করে জানায় যে, আমি ডিবি’র ওসি আল-মামুন বলছি। আপনার ড্রাইভার মাদকসহ ডিবির হাতে আটক হয়েছে, ড্রাইভারের নামে মামলা হবে। আপনার গাড়ী নিতে চাইলে আমার নাম্বারে (০১৯৮১-৯৪৭৪৬২) আগে বিকাশ করে তারপর ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেন।
একইভাবে উক্ত প্রতারক বিভিন্ন বাজার মালিক সমিতির সভাপতি ,সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে বিকাশের দোকান মালিকের কাছে ফোন করে দ্রুত ৪০০০, ৫০০০ সহ বিভিন্ন অংকের টাকা বিকাশ করতে বলে। এইভাবে উক্ত প্রতারক গত ২ বছর যাবৎ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সা পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ড থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মালিকদের ফোন দিয়ে ভুয়া ডিবির ওসি এসআই পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবি করে আসছিল।
এমন খবরের ভিক্তিতে জনৈক ইজিবাইক মালিক মিলন হাওলাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুলনা সদর থানাধীন নিরালা মোড় হতে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় অভিযান চালিয়ে উক্ত প্রতারক মোঃ আল-আমিন শেখ (৩৪) কে গ্রেপ্তার করে। প্রতারক আল আমিন শেখ রূপসা থানার আইচগাতি গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে। ভূয়া ডিবি পরিচয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে গ্রেফতার করে চাঁদাদাবীতে ব্যবহৃত ২ ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।এসময় বাজারের দোকানদারগন এগিয়ে আসে। উক্ত দোকান মালিকদের মধ্যে ২ জন ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তারাও একইভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান। ডিবির টিম ২ জন ভুক্তভুগি ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারকের কথপোকথনের অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করেন। উক্ত মোঃ আল-আমিন শেখের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ১টি মাদকের মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডিবির পরিচয় দানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে খুলনা মহানগর ডিবি প্রধান মো: নুরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযান প্রতিদিন চাল্লাছি কোন প্রকার মাদক, অস্ত্র নগরীতে থাকবে না।