আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান নিলে আপনাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দেবো: ওবায়দুল কাদের

  • In জাতীয়
  • পোস্ট টাইমঃ ২৮ জুলাই ২০২৩ @ ০৯:৩৮ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৮ জুলাই ২০২৩@০৯:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান নিলে আপনাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দেবো: ওবায়দুল কাদের

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নাকি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান নেবে। আমরা ও আপনাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দেবো। রাস্তা বন্ধ করতে আসবেন না। আমাদের চোখ রাঙাবেন না। আমরা চোখ রাঙানোকে ভয় পাই না। দেশি-বিদেশি যারাই আজকে চোখ রাঙাচ্ছেন, তাদের বলে দিতে চাই, আমাদের শিকড় মাটির অনেক গভীরে। আমাদের চোখ রাঙিয়ে উৎখাত করা যাবে না।
শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন।

রাজনীতিতে খেলা হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভুয়া তত্ত্বাবধায়ক ও ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে। বিএনপির এক দফা নয়াপল্টনের কাদা-পানিতে আটকে গেছে। এক দফা খাদে পড়ে গেছে। আর খাদ থেকে উঠবে না। তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছেন। এখানে মির্জা ফখরুলরা লাফালাফি করছেন। আমীর খসরু বলেছেন, গণভবন ছেড়ে দিতে হবে। গণভবন কি আপনার বাবার? যতদিন জনগণ চাইবে, শেখ হাসিনা ততদিন গণভবনে থাকবেন। বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহুদূর। সেটার নাগাল আপনারা পাবেন না।

তিনি বলেন, তারেক রহমান ফখরুলকে বলেছেন, আন্দোলন করেন, টাকার সমস্যা হবে না। রঙিন স্বপ্ন দেখে। ফুলের ভেতরেও শাপ থাকে। তারেক রহমান এতো টাকা পেলো কোথায়। তারেক রহমান জাতি সংঘের চিঠি লেখে তাদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে। এতো সাহস পেলো কোথায়। তারেক রহমান অর্থ পাচারকারী। তার নেতৃত্ব কেউ মানে না। যতই লন্ডন থেকে আস্ফালন করছে ততই বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। তারেক রহমানের সারাজীবনের সাজা হয়েছে। টাকার বাহাদুরি থাকবে না। কারা লন্ডনে যাচ্ছে। এমপি হবেন। টাকা লেনদেন করছে। লবিস্ট নিয়োগ করে টাকা দিয়ে তাদেরকে দিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডরের কাছে চিঠি লেখে। এই দুঃসাহস তারা পেল কোথায়? হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যারা মাতৃভূমির মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। যারা মাতৃভূমির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে তাদের হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দিতে পারিনা। আওয়ামী লীগ রাজনীতির খেলায় চ্যাম্পিয়ান। আজকে সারা ঢাকা শেখ হাসিনার তরুণ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। যেদিকে মানুষ আর মানুষ। কোথায় দাঁড়াবেন। আমরা ছেড়ে দেবো না। সংঘাত করবো না। আমরা জনগণের জানমালের পাহারা দিতে এসেছি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাজাহান খান, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাফেলা এগিয়ে যাবে। যারা এই পথে বাধা দিতে আসবে, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংবিধানের আলোকে আগামী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকবেন। আর নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে পরাজিত হওয়ার পর থেকে বিএনপি বহুবার চেষ্টা করেছে, সন্ত্রাস করে, আগুন সন্ত্রাস করে, সরকারের পতন ঘটানোর জন্য। কিন্তু সন্ত্রাস করে তারা সফল হতে পারবে না।

মাায়া বলেন, খুনের রাজনীতি করতে চান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চান। শেখ হাসিনার দিকে যদি কেউ চোখ তুলে তাকান, তার চোখ রাখা হবে না। তারেক রহমান প্রশাসনকে হুমকি দিয়েছে। দেশের মানুষকে হুমকি দিয়েছে। উড়ে এসে চেয়ারে বসবেন , এটা হবে না। পারলে দেশে আসুন। দেখি মুরোদ কেমন।

কামরুল ইসলাম বলেন, তারা চায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। উদ্ভট কথা। নির্বাচন হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বপালন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনের পর তিনি নতুন সরকারের কাছে সংবিধান সম্মতভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তারা দেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে একটি দীর্ঘদিনের অনির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
নানক বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি একটি ভূতুড়ে সরকার চায়। নির্বাচন সন্নিকটে আসায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের জন্ম হয়েছিল সামরিক ছাউনিতে। জিয়ার পকেট থেকে বিএনপির জন্ম। বিএনপি নেতা জিয়াউর রহমান কারফিউ দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি জামায়াতকে হটিয়ে আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তারুণ্য সমাবেশ প্রমান করে আমরা অনেক শক্তিশালী।
হানিফ বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি এই বিএনপি-জামায়াত যখন সমাবেশ করে তার আগের দিন বিশেষ কোনো রাষ্ট্রদূতের অফিসে গিয়ে বৈঠক করেন। কেন, কী কারণে প্রত্যেকটা মিটিংয়ের আগে বিশেষ রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করতে হয়? এর কারণ একটাই, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানক হিসেবে খেলছে।

নাছিম বলেন, আমাদের তারুণ্যের জয়যাত্রা থামবে না। দেশে শান্তি বজায় আছে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। বিএনপি-জামায়াতকে বলতে চাই, অপরাজনীতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। আমরা জানি কীভাবে মোকাবেলা করতে হয়।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights