আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরগঞ্জে শীতকালীন পিঠা বিক্রির ধুম

  • In বিশেষ সংবাদ
  • পোস্ট টাইমঃ ২৯ নভেম্বর ২০২৩ @ ০৭:০৭ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৯ নভেম্বর ২০২৩@০৭:০৭ অপরাহ্ণ
কিশোরগঞ্জে শীতকালীন পিঠা বিক্রির ধুম

জাবির জাহিদ
কিশোরগঞ্জ।।

সন্ধ্যা নামলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় গ্রামের মেঠোপথ। হালকা শীত এসে শরীরে শিহরণ তোলে। জানান দেয় শীতের আগমনী বার্তা। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পিঠাপুলির কদর। এই শীতের সন্ধ্যায় উষ্ণতা নিয়ে হাজির হয় ভাপা আর চিতই পিঠা। সঙ্গে মরিচ, ধনিয়া পাতা আর সরিষা ভর্তা।

শৈত্যপ্রবাহের ঠান্ডায় একটু হলেও মন ও দেহকে চাঙ্গা করতে মানুষ স্বাদ নিচ্ছে এই শীতের পিঠায়। শীতের সন্ধ্যায় গ্রাম্য বাজারের রাস্তার পাশে দাড়ালেই গরম চিতই পিঠা খাবার নিত্য দৃশ্য চোখে পড়ে। এখন গ্রামের পাশাপাশি পিঠা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই শহরবাসীও। তাদের কাছ থেকে কিনে এসবের স্বাদ গ্রহণ করছে শহরবাসী। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে এই পিঠার দোকান দেখা যায়।

কিশোরগঞ্জ শহরের অলি-গলির মুখে ও রাস্তার পাশে শীকালীন পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। শীত এলেই এক শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ পিঠা ব্যবসায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের দেশীয় পিঠা তৈরী ও বিক্রি করে তারা। শহরের ফুটফাতে বসে মাটির চুলায় লাকড়ী পুড়িয়ে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিঠা তৈরী ও বিক্রি করতে দেখা যায়।

পিঠাপ্রেমিক মানুষ শীতের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে ফুটপাতের এসব পিঠার দোকানে প্রতিদিনই ভিড় জমায়। অনেকেই পিঠার দোকানের চুলার পাশে বসেই গরম গরম পিঠা খায়। আবার অনেকেই চাহিদা মতো ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যায়।অল্প পুঁজিতে লাভবান হওয়া যায়। তাই পুরুষের পাশাপাশি ফুটপাতে বা রাস্তায় বসে পিঠা তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় মহিলাদেরকেও।

শহরের সদর রোডের পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখা গেছে- পাটিসাপটা পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহ। ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতাদেরও বেশ ব্যস্ততায় সময় কাটছে। বিকেল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও বিশেষ করে সন্ধ্যার লগ্নে চিতই ও ভাপা পিঠার চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

চিতই পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করা হয়।এসব দোকানে প্রতি পিস ভাপা ও চিতই পিঠা পাঁচ থেকে দশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দশ টাকার পিঠা স্পেশাল।এই পিঠা বিক্রি করেই শীতের মৌসুমে অনেকে সংসার চালান।অনেকেই মৌসুমে এই ব্যবসার সহিত জড়িয়ে পড়েছেন।তেমন একটা পুঁজি লাগে না বলেই সহজেই এ ব্যবসা শুরু করেন অনেকেই।

বিন্নাটি বাজারের পিঠাবিক্রেতা শহীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও রয়েছে ক্রেতার ভিড়।এতে আয় রোজগারও হচ্ছে ভালোই।যেহেতু ভাপা পিঠার ব্যবসা শীতকালে ছাড়া অন্য কোনো ঋতুতে হয় না, সেহেতু এই সময়ই এই ব্যবসার জন্য শ্রেয়।

ক্রেতা প্রিমন মোল্লা জানান, শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম।আর যদি হয় ভাপা পিঠা, তাহলে তো আর কোন কথায় নেই।নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য বন্ধুদের নিয়ে সন্ধ্যায় আসি ভাপা পিঠা খোতে।পিঠা ছাড়া আড্ডা জমেই না।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights