।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর চেয়ংঝুর একটি টানেলে আটকে পড়া যাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। ওই টানেল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে নদী উপচে আসা আসা পানি ওই টানেলে হঠাৎ করে ঢুকে পড়লে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও একটি যাত্রীবাহী আস আটকে পড়ে।
৬৮৫মিটার দীর্ঘ টানেলটিতে ঠিক কতজন আটকে রয়েছে তা এখনো জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। তবে সেখানে ১৫টি গাড়ি থাকার কথা জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।
ব্যাপক বন্যায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ভূমিধস ও বিদ্যুৎহীনতা চলছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অন্তত নয় জন।
ওসং উপশহর এলাকায় প্লাবিত টানেলে থাকা একটি বাস থেকে বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ওই ঘটনায় নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। হতাহতদের পরিবার বলছে, কর্তৃপক্ষ দক্ষতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিলে হয়তো এসব প্রাণহানি এড়ানো যেত।
বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে নদীর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়। তাদের সতর্কতা আমলে নিয়ে টানেলে যানবাহন চলাচল ঘুরিয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে অনেকেই মনে করেন।