আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি: কবরস্থানে হাঁটু পানি, লাশ দাফন ব্যাহত

  • In অন্যান্য, সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ১৫ জুলাই ২০২৩ @ ১০:০৩ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৬ জুলাই ২০২৩@০২:২৫ পূর্বাহ্ণ
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতি: কবরস্থানে হাঁটু পানি, লাশ দাফন ব্যাহত

জে এইচ জনি
স্টাফ রিপোর্টার।।

কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে নিম্ন অঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়িসহ ফসলের মাঠ সব তলিয়ে গেছে এই বন্যার পানিতে। এমনকি কবরস্থানে হাঁটু পানি হওয়ার কারণে লাশ দাফন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আজ ১৫ জুলাই বিকেলে সরেজমিনে জমিনে দেখা যায়, লালমনিহাট জেলাধীন আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের অন্তর্গত খোলাহাটি কেন্দ্রীয় কবরস্থানটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে আশেপাশে বসবাসরত মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃতদেহ কবরস্থ করার ভীষণ অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। লাশ দাফন করার জন্য তিল পরিমাণ উঁচু জমি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি কবরস্থানের পাশে একটি মসজিদ অবস্থিত। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ওই মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে যেতে পারছে না।

এলাকাবাসী বিডিহেডলাইন্সকে জানান, একদিকে আমরা মসজিদ নামাজ পড়তে পারছি না, অন্যদিকে স্বজনদের মৃতদেহ কবরস্থানে দাফন করতেও পারছি না। অত্র এলাকার জমির আলী(৫০) বলেন, আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমরা কোন ত্রাণ চাই না, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়ে মসজিদের নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা ও কবরস্থানে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করলেই আমরা খুশি হব। জায়গাটি নিচু হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করে যদি মাটি ভরাট করে উঁচু করা হয় তাহলে এমন দুরবস্থার সৃষ্টি হবে না বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

ঐ এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন- “ভাই আমরা, প্লিজ! ইলিপ ছিলিপ চাইনা। হামরা কবরস্থানের মাটি ভরাট করি চাই। এলা কায়ো মরলে মরা ভাসে দেওয়া নাগবে। মাটি দেওয়া জাগায় নাই। জেলা প্রশাসক ছারোক আহ্বান জানবার নাকচি ওমরা যেন হামার কাজটা করি দেয়”।

বৃদ্ধ হাসান আলী বলেন, “বানের পানির জন্তে হামরা মসজিদ যাবার পাওচিনা (পারতেছি) না। হামার মসজিদ যাওয়ার আস্তা কোনা ভাল করি দেও, তাতে হামার খুশি। হামার সরকার শেখ হাসিনাক কং ওমরা হামার মসজিদের আস্তা আর কবরস্থান কোনা ভাল করি দেয়।

এবিষয়ে অত্র ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, খোলাহাটি কেন্দ্রীয় কবরস্থান ও মসজিদের রাস্তার বিষয়টি আমার নলেজে আছে। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাদাই ইউপি চেয়ারম্যান শ্রী কৃষ্ণকান্ত রায় বিধুর এবিষয়ে বলেন, আমি এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। ওই এলাকার বন্যার্তদের মাঝে আজ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মসজিদ এবং কবরস্থানের বিষয়টা মাথায় আছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

এদিকে কবরস্থান ও মসজিদটি পানিতে ডুবে আছে। বন্যার পানিতে আশেপাশের সব এলাকা তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights