আজ ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে লালমনিরহাটে তৌহীদি জনতার বিক্ষোভ

  • In ধর্ম, সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ৮ জুলাই ২০২৩ @ ০২:৫৩ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৮ জুলাই ২০২৩@০৩:২৩ অপরাহ্ণ
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে লালমনিরহাটে তৌহীদি জনতার বিক্ষোভ

জে এইচ জনি
স্টাফ রিপোর্টার।।

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে লালমনিরহাটে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহীদি মুসলিম জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আজ শনিবার (৮ জুলাই)সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ হতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লালমনিরহাট জেলার প্রানকেন্দ্র মিশনমোড় গোল চত্বরে এসে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

উক্ত সমাবেশে সুইডেনে তুর্কি দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন শরিফে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে রংপুর মসজিদের পেশ ইমাম মোঃ হাসান আলী ও লালমনিরহাট বড় মসজিদের ইমাম তাহিদুল ইসলাম বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কোরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত শেষ আসমানী গ্রন্থ। যুগেযুগে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর উপর এই গ্রন্থ নাজিল হয়। এই গ্রন্থ বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ। কোটি কোটি হাফেজ এই গ্রন্থ মুখস্থ করে তাদের হৃদয়ে ধারণ করেন।

সুইডেন কর্তৃক কুরআন অবমাননায় লালমনিরহাট ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ভকেশনাল জামে মসজিদের পেশ ইমাম। তিনি বলেন, পবিত্র আল-কোরানের অবমাননা বিশ্বের কোন মুসলমান সইবেনা।আমরা কোন ধর্মের বিরোধী নই, মুসলিম শান্তির ধর্ম কিন্তু আল-কোরআন নিয়ে কোন ছিনিমিনি খেলা চলবেনা। পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়া মানেই মুসলমানদের কলিজায় আগুন দেয়া। সারা বিশ্বে মুসলমানদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, দখল, নির্যাতন, লুটপাট চালানোর সাথে সাথে তথাকথিত সভ্য দেশগুলো মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। এই ঘৃণিত কাজ কোনোভাবেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধকে অবমাননা করা হয়েছে।

বক্তারা ওআইসি, আরবলীগ, জাতিসংঘ সহ বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের কাছে এহেন ঘৃণ্য কর্ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। মুসলমানদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এই পবিত্র গ্রন্থের বিধান মেনেই পরিচালিত হয়। ওরা মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এমন ইসলামবিরোধী কাজের অনুমতি কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এটি মুসলমানদের নিশানা ও পবিত্র মূল্যবোধের চরম অবমাননা। অবিলম্বে সুইডেন সরকারকে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিতর্কিত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে।

ওলামা মাশায়েখগন এহেন ঘৃণ্য অপরাধের জন্য তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে উক্ত অপরাধীকে জাতিসংঘের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights