রফিক প্লাবন
দিনাজপুর।।
দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ভারত হতে কাঁচা মরিচের আমদানি বাড়লেও স্থানীয় বাজারে বেড়েই চলেছে দাম। আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বেশী মুনাফার আশায় আমদানি করা ট্রাক বোঝাই কাঁচা মরিচ ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আজ বৃহষ্পতিবার ৫৭ টন ২৫০ কেজিসহ গত ১২ দিনে আমদানি হয়েছে ১১৪ টন ২৩০ কেজি কাঁচা মরিচ। তারপরও স্থানীয় বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এদিকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকাসহ অনান্য জায়গার পাইকারি কাঁচামরিচ ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অবস্থান নিয়েছেন।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমদানিকৃত কাঁচামরিচ হিলি বাজারে না দিয়ে নিজ চালানে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন আমদানিকারকরা। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ- যেই হিলি দিয়েই আমদানি হয়েছে, সেই বন্দরের বাজারেই মিলছে না ভারতীয় কাঁচামরিচ। হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা জানান, কাঁচা মরিচগুলো নিজ চালানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, কোরবানী ঈদের একদিন আগে সোমবার ২৬ জুন ভারতীয় ৫টি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়। সেগুলো ওই দিনই বাইরের পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। এ কারণে স্থানীয় বিক্রেতারা কোনো কাঁচামরিচ কিনতে পারেননি। ৯ দিন বন্ধের পর বুধবার (৫ জুলাই) প্রথম দিনে ৪ টি ট্রাকে ২৯ টন ৯৮০ কেজি ও দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ৭ টি ট্রাকে ৫৭ টন ২৫০ সহ ১১৪ টন ২৩০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৫ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) হিলি বাজারে দেখা যায়, কাঁচামালের দোকানগুলোতে সরববাহ কমেছে কাঁচামরিচের। বাজারের দোকানগুলোতে নেই ভারতীয় আমদানিকৃত কাঁচামরিচ। হিলির বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা বুধবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এর কয়েক দিন আগে সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতা শাহিন বলেন, সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়। এখন সরববাহ কমে গেছে তাই দাম বাড়ছে।