আজ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে বৃষ্টিতে কৃষকের স্বস্তি, আমন রোপণে ব্যস্ততা

  • In সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ৩ জুলাই ২০২৩ @ ০৬:২০ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ৩ জুলাই ২০২৩@০৬:২০ অপরাহ্ণ
রাজশাহীতে বৃষ্টিতে কৃষকের স্বস্তি, আমন রোপণে ব্যস্ততা

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজশাহীর তানোরে বোরো ধান উত্তোলনের পর পরই আষাঢ়ের পানিতে হয়ে যায় কৃষকের আমন ধান চাষ। তবে এবার ভরপুর বৃষ্টির মাস আষাঢ় পার হয়ে গেলেও সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় অনেকটা বিলম্বনা হয়ে গেলো কৃষকের আমন ধান চাষ করার সময়। তবুও কৃষকরা চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে চেয়ে ছিলো কখন আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির পানি হবে। আর কৃষকরা আমন ধান চাষের জন্য কোমর বেধে নামবে জমিতে।

কৃষকের সেই বহুদিনের আকাঙ্খা এবার পূরণ করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। আষাঢ়ের শেষ দিকে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির পানির ঢলে মাঠজুড়ে থইথই করছে পানি। কৃষকরাও ব্যাপক স্বস্তিতে দলবেঁধে নেমে পড়েছে আমন ধান চাষের জন্য হাল চাষ করতে। তানোর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন পরে আকাশের বৃষ্টিতে আমন ধান চাষের জন্য ভোর থেকে কৃষকরা জমিতে ট্রাকটার ও গরুর লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ করে জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আষাঢ় মাসে আমন ধান চাষের জন্য ডিপ বা মটরের পানির তেমন প্রয়োজন হয়না। আকাশের বৃষ্টিতেই হয়ে যায় আমন ধান চাষ। ফলে অন্য আবাদের চাইতে তুলনামূলক ভাবে আমন ধান চাষের জন্য কৃষকের খরচও খুব কম হয়ে থাকে। এতে করে কৃষকরা আমন ধান চাষের জন্য বেশি ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।

তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের কৃষক বাসির উদ্দিন বলেন, অন্য আবাদের চাইতে রোপা আমন ধান চাষে খরচ খুব কম হয়। রোপা আমন ধান চাষ আকাশের বৃষ্টির পানিতে বেশিরভাগ হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর বৃষ্টির মাস আষাঢ় পার হয়ে গেলেও সময়মত বৃষ্টির পানি না হওয়ায় আমন ধান চাষ করতে অনেক বিড়ম্বনা হয়ে গেছে। তবে আল্লাহর রহমতে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে আকাশের বৃষ্টির পানির দেখা মিলেছে। কৃষকেরাও জোরেশোরে মাজা বেঁধে জমি চাষ করতে ঝুঁকে পড়েছেন। আশা করা যাচ্ছে সপ্তাহের মধ্যে সব জমি রোপণ করা শেষ হয়ে যাবে কৃষকের। তবে এবার ডিএপি সার ও পটাশ সার সহজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আবার বেশি দাম দিলেই মিলছে পটাশ সার ও ডিএপি সার। অনেকে পটাশ সার ছাড়াই আমন ধান রোপণ করছেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকের অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালা মসিবত না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। আর কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্যেও প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights