নিজস্ব প্রতিবেদক
এবারের কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার ভালো দাম মিলবে বলে আশ্বাস দিলেন ট্যানারি মালিকরা। তারা বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিদাতা, খামারি ও চামড়া ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন। কারণ, দেশে-বিদেশে চলমান অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও চলতি বছর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া ট্যানারি মালিকরা গত কয়েক বছর ধরে বকেয়া থাকা টাকার বড় অংশ পরিশোধ করেছেন। ফলে, ব্যবসায়ীদের আর্থিক সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘চামড়া খাতের টেকসই উন্নয়নে করণীয়’ সেমিনারে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহীন আহমেদ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফেরদৌস আরা বেগম, ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ আবুল কাশেম, বিটিএ উপদেষ্টা ও মারসন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম খান এবং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।
বিটিএর চেয়ারম্যান বলেন, আসছে ঈদে ৮৫ লাখ (৪০ লাখ গরু ও ৪৫ ছাগল) পশু কোরবানি হতে পারে। এখানে পশু কেনাবেচা হতে পারে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা এবং চামড়ার আনুমানিক সাইজ ২২ বর্গফুট। এমন কোরবানির লবণবিহীন কাঁচা চামড়া কেনার মূল্য ৮৫০ টাকা। অন্যান্য প্রসেসিংয়ে ব্যয় হয় ১৯০০ টাকা। একটি পাকা চামড়ার মূল্য হয় ২৭৫০ টাকা। স্থানীয় বাজারে বা বিদেশি রপ্তানিযোগ্য ১০ জোড়া উন্নত মানের জুতা আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
শাহীন আহমেদ জানান, চলতি বছর এ খাতে ১৮০ কোটি টাকার ঋণ আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চাহিদা বেশি থাকায় কাঁচা চামড়ার পুরোনো মজুত প্রায় শেষ। করোনার মারাত্মক প্রভাব থেকে পশ্চিমা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও মুদ্রাস্ফীতি কমার কারণে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের রপ্তানি বাড়তে পারে। এ বছর কাঁচা চামড়া রপ্তানির সম্ভাবনা ভালো।
এদিকে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, অনেক ট্যানারি মালিক তাদের আগের পাওনা পুরোপুরি বা বড় অংশ পরিশোধ করায় বকেয়া ১০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। গত বছর ১১০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর বকেয়ার বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বাকি বকেয়া অর্থের একটি বড় অংশ ঈদুল আজহার আগেই পরিশোধ করা হবে।
তিনি আরও জানান, তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা যেন কাঁচা চামড়া কিনতে পারেন, সেজন্য ঈদের আগে ট্যানারি মালিকদের অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদিত কাঁচা চামড়ার প্রায় অর্ধেকই আসে ঈদুল আজহায়। আর ট্যানারিগুলো কোরবানির পশুর চামড়ার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ ট্যানারি মূলত সাভার ও চট্টগ্রামে অবস্থিত।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এ বছর ১ কোটি ৩০ লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে ৮৫ লাখ গরু এবং ১৫ লাখ ছাগল, মহিষ ও ভেড়া থাকবে।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বাংলাদেশ ১.১২ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৪২ শতাংশ বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে গার্মেন্টসের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী চামড়া খাতের ইতিবাচক প্রভাব আছে।
লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল পাওয়ায় লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্প বহুবিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা আছে।
এবারের কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার ভালো দাম মিলবে বলে আশ্বাস দিলেন ট্যানারি মালিকরা। তারা বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিদাতা, খামারি ও চামড়া ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন। কারণ, দেশে-বিদেশে চলমান অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও চলতি বছর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া ট্যানারি মালিকরা গত কয়েক বছর ধরে বকেয়া থাকা টাকার বড় অংশ পরিশোধ করেছেন। ফলে, ব্যবসায়ীদের আর্থিক সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘চামড়া খাতের টেকসই উন্নয়নে করণীয়’ সেমিনারে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহীন আহমেদ।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফেরদৌস আরা বেগম, ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ আবুল কাশেম, বিটিএ উপদেষ্টা ও মারসন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিকুল ইসলাম খান এবং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।
বিটিএর চেয়ারম্যান বলেন, আসছে ঈদে ৮৫ লাখ (৪০ লাখ গরু ও ৪৫ ছাগল) পশু কোরবানি হতে পারে। এখানে পশু কেনাবেচা হতে পারে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা এবং চামড়ার আনুমানিক সাইজ ২২ বর্গফুট। এমন কোরবানির লবণবিহীন কাঁচা চামড়া কেনার মূল্য ৮৫০ টাকা। অন্যান্য প্রসেসিংয়ে ব্যয় হয় ১৯০০ টাকা। একটি পাকা চামড়ার মূল্য হয় ২৭৫০ টাকা। স্থানীয় বাজারে বা বিদেশি রপ্তানিযোগ্য ১০ জোড়া উন্নত মানের জুতা আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
শাহীন আহমেদ জানান, চলতি বছর এ খাতে ১৮০ কোটি টাকার ঋণ আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চাহিদা বেশি থাকায় কাঁচা চামড়ার পুরোনো মজুত প্রায় শেষ। করোনার মারাত্মক প্রভাব থেকে পশ্চিমা অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও মুদ্রাস্ফীতি কমার কারণে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের রপ্তানি বাড়তে পারে। এ বছর কাঁচা চামড়া রপ্তানির সম্ভাবনা ভালো।
এদিকে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, অনেক ট্যানারি মালিক তাদের আগের পাওনা পুরোপুরি বা বড় অংশ পরিশোধ করায় বকেয়া ১০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। গত বছর ১১০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর বকেয়ার বড় অংশ পরিশোধ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বাকি বকেয়া অর্থের একটি বড় অংশ ঈদুল আজহার আগেই পরিশোধ করা হবে।
তিনি আরও জানান, তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা যেন কাঁচা চামড়া কিনতে পারেন, সেজন্য ঈদের আগে ট্যানারি মালিকদের অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদিত কাঁচা চামড়ার প্রায় অর্ধেকই আসে ঈদুল আজহায়। আর ট্যানারিগুলো কোরবানির পশুর চামড়ার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ ট্যানারি মূলত সাভার ও চট্টগ্রামে অবস্থিত।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এ বছর ১ কোটি ৩০ লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে ৮৫ লাখ গরু এবং ১৫ লাখ ছাগল, মহিষ ও ভেড়া থাকবে।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বাংলাদেশ ১.১২ বিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৪২ শতাংশ বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে গার্মেন্টসের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী চামড়া খাতের ইতিবাচক প্রভাব আছে।
লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল পাওয়ায় লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্প বহুবিলিয়ন ডলারের শিল্পে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা আছে।