।।দাকোপ প্রতিনিধি।।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় চুনকুড়ি ও ঢাকি নদীতে ভাসমান অবস্থায় কুমির দেখে আতঙ্ক আছে এলাকার মৎস্যজীবি ও বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। চুনকুড়ি ও ঢাকি নদীতে গত দু’তিন দিন ধরে ভাসমান অবস্থায় কুমির দেখা যাচ্ছে।
দাকোপ উপজেলা তিনটি ব-দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে যার চতুর্দিকে নদীবেষ্টিত। হঠাৎ এলাকার মৎস্যজীবী মানুষেরা নদীতে কুমির দেখতে পেয়ে তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে চুনকুড়ি ও ঢাকি নদীতে যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্ভর করে আসছে ও যারা নদীর তীরবর্তী বসবাস করছে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যার কারনে তাদের জীবিকা নির্বাহে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
চুনকড়ি নদীতে জাল টেন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সালেহা বেগম ও আছিয়া বেগম তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্ভর করে আসছেন। প্রতিদিন নদীতে জাল টেনে যে মাছ পায় তা বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। এখন নদীতে কুমির ভাসতে দেখা গেছে তারা ভয়ে নদীতে মাছ ধরতে পারছে না। প্রতিদিন মাছ ধরে আয় না করলে সংসার চলে না। নদীতে কুমির ভাসছে এই আতঙ্কে তারা দিন কাটছে খুব কষ্টে।
মৎস্যজীবী রহমান শেখ ও ভোলানাথ সরদার বলেন, আমরা প্রতিদিন ঢাকি ও চুলকড়ি নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন কুমির ভাসছে নদীতে তাই মাছ ধরার জন্য যেতে পারছি না। একদিন মাছ না ধরলে সংসার চলে অতি কষ্টে। এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
দাকোপ উপজেলায় সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম সুলতান বিডি হেডলাইন্সকে বলেন, জোয়ারের সময় পথ ভুলে নদীতে কুমির ঢুকে পড়েছে। তিনি এলাকার জনসাধারণকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন।