বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। গত সপ্তাহে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে। আরও চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত এই তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকালে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট ও এর আশেপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং গত কয়েক বছরে এ তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে শ্রমজীবীদের। বিশেষ করে দিনমজুরেরা দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত হওয়ায় আয় রোজগার নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জেলা শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা হাড়িভাঙ্গা এলাকার পঞ্চাশোর্ধ রিক্সাচালক রিন্টু মিয়া জানান, এক বেলা রিক্সা না চালালে পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে হয়। কিন্তু সকাল ৯ টার পর থেকেই তীব্র রোদে রিক্সা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে তার মত অনেক রিক্সা চালককে। শহরের মিশন মোড়ে প্রতিদিন আসেন সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের তরণী বর্মন।
দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করেন যে কেউ ডাকলে। তিনি বলেন, গরমের কারনে একটানা এক ঘন্টার বেশি কাজ করা দায়। রোদে পুড়ে একদিন কাজ করলে পরের দুইদিনই বিশ্রাম নিতে হয়।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই তাপদাহ অব্যহত থাকতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ লালমনিরহাটের আশেপাশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এমকে/তারিখ:০৩০৬২৩/২০:৪৭