আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

কক্সবাজারে নতুন যুগের সূচনা

কক্সবাজারে নতুন যুগের সূচনা
ছবি- বিডিহেডলাইন্স

শাহীন মাহমুদ রাসেল
কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

বৃহত্তর দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর অপেক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশে ছেড়েছে।

এ উপলক্ষে আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে বেলা সাড়ে ১১টায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রেল মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি একই দিন রাত সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা রয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার আগে কক্সবাজারগামী যাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেল মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান।

কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। কক্সবাজার থেকে ঢাকা রেলস্টেশনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস পৌঁছাতে সময় নেবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। একইভাবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাতে একই সময় লাগবে। এই রুটে সর্বনিম্ন ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৬৯০ টাকা।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. ফরহাদ বিন জাফর বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম দিন ১ হাজার ৩৮০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছে। ট্রেনটিতে মোট ২৩টি বগি রয়েছে।

গত ২৩ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সকাল ৮টায় শুরুর পর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজারমুখী সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। কক্সবাজার থেকে ঢাকামুখী ট্রেনের টিকিট বিক্রি হতেও বেশি সময় লাগেনি। এ থেকে বোঝা যায় এই ট্রেনের প্রতি মানুষের বিশেষ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে।

এরআগে গত ১১ নভেম্বর এ রুট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রী চলাচল শুরুর জন্য আগেই রেল বিভাগ ১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে। রেল মন্ত্রণালয় ধারণা করছে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন থেকে প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। দুটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব থাকলেও ঢাকা থেকে প্রথম দিকে দিনে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে।

রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে এ রুটে ট্রেন বাড়বে। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সুবক্তগীন জানান, এ প্রকল্পের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে। প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে অনেক রকম অপারেশন সুবিধা রয়েছে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights