আজ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

  • In আন্তর্জাতিক, শীর্ষ
  • পোস্ট টাইমঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৩ @ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ২৪ নভেম্বর ২০২৩@১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু

।।বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক।।

অবশেষে জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজা উপত্যকায়।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে শুরু হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদের একসঙ্গে রাখা হবে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। চার দিনের মধ্যে ৫০ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও বলেন, বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যেভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত মিশর ও দোহায় উপস্থিত পক্ষগুলোর সঙ্গে সেভাবেই সমন্বয় করা হয়েছে। সভাগুলো খুব ভালো ও ইতিবাচক পরিবেশে হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ফলটি ছিল চুক্তি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অংশ। আমরা সবসময় বলেছি— এমন কিছু হওয়া দরকার, যা কংক্রিট এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে প্রস্তুত।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। বিকাল ৪টায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে প্রথমে ১৩ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গাজা থেকে বন্দিদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাজেদের কাছে। কিন্তু ‘নিরাপত্তার কারণে’ তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন কক্ষের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব।

যারা ইসরাইলি নন, সেসব বন্দিকে মুক্তির বিষয়ে এক উত্তরে তিনি বলেন, জিম্মিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মানদণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে মানবিক। আমাদের ফোকাস ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারী ও শিশুদের ক্ষতির পথ থেকে সরিয়ে আনা। আশা ছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা সবাইকে সময়মতো বের করে আনতে পারব। এবং মানবিক বিরতির মাধ্যমে গাজার মানুষের কষ্ট নিরসন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য এই চুক্তিটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ করা।

আলজাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যে মানবিক সহায়তা এই চুক্তির ‘একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’। আমরা রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্য পাঠানোর আশা করছি। এটি গাজার প্রয়োজনের একটি ভগ্নাংশ মাত্র, তবে সেখানে প্রচুর সহায়তা দরকার।

শুক্রবার কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে পারি যে চুক্তিটি পারস্পরিক। আমরা ইসরাইলি পক্ষ থেকেও মুক্তির আশা করছি। যখনই দুই পক্ষের তালিকা নিশ্চিত করা হবে, আমরা জিম্মিদের বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি। আমাদের দলগুলো দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি ভাঙলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আল-আনসারী বলেন, চুক্তিটি চারদিনের মধ্যে শত্রুতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার বিষয়ে। সুতরাং স্পষ্টতই যে কোনো ধরনের শত্রুতা পুনরায় শুরু করার অর্থ চুক্তি লঙ্ঘন করা।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights