।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আর কোনো উদ্যোগ নেই। আমাদের সংলাপের আর প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবেই সমাধান হবে। রাজনৈতিক বিষয় আমাদের এখতিয়ার না। আমরা তফসিল ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবো। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণের চারমাস পরই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো তা বর্জন করে। পরে ফের সংলাপের উদ্যোগ নিলেও বিএনপিও সমমনাদের সাড়া পায়নি আউয়াল কমিশন। পরে ফের চিঠি পাঠিয়েও কোনো জবাব পায়নি সাংবিধানিক এ সংস্থা।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল আমরা যথাসময়ে দেব। এখনও আলোচনা হয় নি, সময় হলে আলোচনা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট করলে অন্তত ৪৫ দিন সময় নিয়েই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সামনে আর উপ-নির্বাচন করতে হবে না বলে জানান এই কমিশনার।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে। এবার নির্দলীয় সরকার না হলে তারা ভোটে যাবে না বলেই জানিয়েছে। তবে নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকায় এর মধ্যেই রাজনৈতিক কোনো সমাধান আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন আনিছুর। তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয়, এক সময় না এক সময় সমাধান হয়ে যাবে। যত সময় কমে আসবে, ততই প্রত্যেকে চাপের মধ্যে থাকবে। তারাও থাকবে, আমরাও চাপের মধ্যে থাকব। সময়ই বলে দেবে কখন কী হবে, আমরা তো বলতে পারব না।
নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, আমরা ২৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছি আপত্তি জানানোর জন্য। যারা নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের আপত্তি জানানোর জন্য। কেউ কেউ আপত্তি জানিয়েছে। কালকের পরে আমরা এটা নিয়ে বসবো। তাদের (রাজনৈতিক দল) ক্ষোভ থাকতেই পারে। এরপর বলা যাবে। কে ঘেরাও করতে আসছে? তার ঘেরাও করার অধিকার আছে। করুক। যদি কেউ ঘেরাও করে আমরা ঘেরাও হয়ে থাকবো অসুবিধা নাই।