শাকিল মুরাদ
শেরপুর প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের তিনটি আসনের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ১৯ জন প্রার্থীর যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে শেরপুর-১ আসন থেকে দুইজন ও শেরপুর-২ আসন থেকে একজন বাদ পড়েছেন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বাদ পড়া প্রার্থীরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-১ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত ইলিয়াস উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান এবং নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসন থেকে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জায়েদুর রশিদ শ্যামল। বাকী ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।
শেরপুর-১ (সদর) আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক (আওয়ামী লীগ), মো. মাহমুদুল হক মনি (জাতীয় পার্টি), আহসানুল হক আকন্দ (জাকের পার্টি), বারেক বৈদেশী (কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ), এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিএনএম), আবুল কালাম আজাদ (বিএসপি), মো. ফারুক হোসেন (তৃণমূল বিএনপি) ও ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র)।
এ আসনে ঋণখেলাপী ও বিল খেলাপীর দায়ে জাতীয় পার্টির অপর প্রার্থী আলহাজ্ব মো. ইলিয়াছ উদ্দিন এবং ১ শতাংশ ভোটারের সাক্ষরে গড়মিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ৪ প্রার্থীর মধ্যে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হচ্ছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), লাল মোহাম্মদ শাজাহান (জাসদ) ও সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর (স্বতন্ত্র)।
এ আসনে ঋণখেলাপীর দায়ে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জায়েদুর রশীদ শ্যামলের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাছাইকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিকসহ তার প্রস্তাবক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি ও সমর্থক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক এবং অধিকাংশ প্রার্থী ও তাদের প্রস্তাবক-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) শেরপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদে যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর দুই দিনে শেরপুরের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।