বগুড়া (নন্দীগ্রাম) প্রতিনিধি।।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উস্কে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেগম শিফা নুসরাতকে শাস্তিমূলক প্রত্যাহার ও বদলি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১২ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (প্রেষণ-২ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কমকর্তা বেগম শিফা নুসরাতকে (সিনিয়র সহকারী সচিব) বর্তমান পদ ও কর্মস্থল হতে প্রত্যাহারপূর্বক ‘এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট’ বিআরটিএ ঢাকা পদে পদায়নের লক্ষ্যে তার চাকুরি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ন্যস্ত করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। শাস্তিমূলক প্রত্যাহার ও বদলির আদেশ হলেও বিতর্ক এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। ৭দিন পর বৃহস্পতিবার (২০জুলাই) ওই প্রজ্ঞাপনটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে বখরা আদায়, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার ও দুর্নীতি আড়ালে রাখতে নিজের স্বার্থে মিডিয়া ফোকাসের জন্য সাংবাদিকদের ব্যবহারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে ইউএনও শিফা নুসরাতের অপসারণ দাবিতে সাংবাদিক ও জনসাধারণের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়েছিলো। স্থানীয় সাংবাদিকদের একাংশ প্রায় একবছর ধরে উপজেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করে আসছেন।
তারা অভিযোগ করেছিলেন, মানববন্ধনের পরই এক সাংবাদিকের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলামের পরামর্শে ও মদদে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেন ইউএনও শিফা নুসরাত। ‘এসিল্যান্ড নন্দীগ্রাম’ ফেসবুক আইডিতে সাংবাদিকদের ‘তথাকথিত’ আখ্যা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম।
বাল্যবিয়েসহ নানা বিষয়ে তথ্য দেওয়ার পরও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করে উল্টো তথ্যদাতাকে মামলার বাদী করে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলা এবং প্রয়োজনে সরকারি নম্বরে দিনভর কল করলেও ইউএনও এবং এসিল্যান্ড রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ ওঠে।