।।ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক।।
বন্যা প্লাবিত টানেলের মধ্যে আটকে পড়া কয়েকটি গাড়ির কাছে পৌঁছাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকারীরা। নর্থ চুংচেচং প্রদেশের চেংঝু টানেলে ১৯টি গাড়ি আটকে থাকার কথা জানা গেলেও সেখানে ঠিক কতজন মানুষ রয়েছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে পার্বত্য এলাকায় উত্তর জিয়ংস্যাং অঞ্চলে। সেখানে ভূমিধসে ভেসে গেছে বহু বাড়ি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনশ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দেশটিতে সাধারণত প্রতিবছর এক হাজার মিলিমিটার থেকে ১৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয় গ্রীষ্মের দিনগুলোতে।
আকাশ থেক ধারণ করা বন্যা কবলিত এলাকার ভিডিওতে দেখা গেছে, পানির গভীরতা এতই বেশি যে কেবল বাড়ির ছাদ দেখা যাচ্ছে। হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হান দাক-সু।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চেংঝু টানেলে আকস্মিক বন্যা এত দ্রুত প্রবেশ করেছে যে, চালক ও যাত্রীরা সরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, এবং আরও নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।