।।বিডিহেডলাইন্স ডেস্ক।।
ডায়াবেটিস এখন প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে। প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি রোগসহ অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ ভালো হয় না, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের শুধু মিষ্টি বাদ দিলেই হবে না। বরং খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে এই সাত খাবার বর্জন করা দরকার।
হোয়াইট গ্রেইন সাদা পাউরুটি, পাস্তা এবং ভাত রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটের উদাহরণ। এগুলো প্রক্রিয়াকরণের সময় ফাইবার অপসারিত হয়। ফলে এই খাবারগুলো সরাসরি আপনার রক্তচাপ লেভেলকে প্রভাবিত করতে পারে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
ডায়াবেটিস রোগীরা কখনই ব্রেকফাস্টে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না। এতে অনেক বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা সরাসরি চিনিতে রূপান্তরিত হয়।
আলু খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। আলু উচ্চ জিআই বিভাগের সদস্য। এক ক্যান সোডা যেমন ব্লাড সুগার লেভেল বাড়ায়, তেমনই এক কাপ আলুও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
ডুমুর, আঙুর, আম, চেরি এবং কলায় কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্রুক্টোজ নামক প্রাকৃতিক শর্করা থাকে। যার ফলে এই ফলগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফলগুলো একেবারেই ভালো নয়। তাই এগুলো খুব কম খান অথবা না খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। এই ধরনের পানীয়গুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে, পাশাপাশি কোনো প্রোটিন, চর্বি বা ফাইবার থাকে না।
সাধারণ দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। তবে বিভিন্ন ফ্লেভারের দই কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্লেভারের দই সাধারণত নন-ফ্যাট বা লো-ফ্যাট দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এতে কার্বোহাইড্রেট ও চিনির মাত্রা বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
ওট মিল্কে মল্টোজ নামক একটি নির্দিষ্ট ধরনের চিনি থাকে, এটিতে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটের থেকে, মল্টোজ দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
নিয়ম মেনে খাবার পরিমিত খাওয়া, ঘুম ও হাঁটাহাটি করাসহ স্বাভাবিক কিছু নিয়ম মেনে চললেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। জীবন আমাদের তাই তাই সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনে বেঁচে থাকতে হলে আমাদেরকে উপরের নিয়মগুলো মেনে চলতেই হবে।