আজ ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ও ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ এবং ৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মিলেছে ট্রাভেল পাস, দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন

  • In রাজনীতি, শীর্ষ
  • পোস্ট টাইমঃ ১৩ জুন ২০২৩ @ ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১৩ জুন ২০২৩@০৫:৫৫ অপরাহ্ণ
মিলেছে ট্রাভেল পাস, দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন
ছবি- ফাইল ছবি

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভারতে আটকে থাকা বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। এখন দেশে ফেরার প্রতিক্ষায় রয়েছেন তিনি। ডাক্তার দেখিয়ে শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আট বছর আগে ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় গ্রেপ্তার হন, তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়। সেই মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি খালাস পেলেও ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারছিলেন না। কারণ তার কাছে পাসপোর্ট নেই।

সোমবার ট্রাভেল পাশ হাতে পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেছেন, গতকালই ট্রাভেল পাস বাংলাদেশ মিশন থেকে পেয়েছি। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন দেশে ফেরার পথ খুলল। ওইদিনই সালাহ উদ্দিন দেশে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার আবেদন গ্রহণ করার কথা জানান। তবে ভারতে আরো কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন বলেন, এই তো ট্রাভেল পাস পেলাম। দেশে ফেরার আগে শারীরিক চেকআপ করিয়ে নিতে চাই। সেজন্য দিল্লি যেতে হবে। যে হাসপাতালে আমি চিকিৎসা করিয়েছি সেখানকার ডাক্তারদের দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, কবে দেশে ফিরব এখনই বলতে পারছি না। কারণ শারীরিক যেসব সমস্যায় ভুগছি তা দেখানোর পর সময়সূচি ঠিক করতে পারব। দেশে যাওয়ার প্রতীক্ষায় আছি। কিন্তু চিকিৎসাটা এখানে সেরে যেতে না পারলে দেশে ফিরে কী অবস্থায় পড়ব, তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বেশ কিছু রোগে ভুগছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

গত ৫ বছর আদালতের অনুমতি ছাড়া শিলংয়ের বাইরে যেতে পারেননি তিনি। এসব কারণে তার চিকিৎসার ফলোআপ করতে পারেননি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তার কিডনি ও ঘাড়ে দুইটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরও আগে বাংলাদেশে তার হার্টে তিনটি রিং বসানো হয়।

বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নামেন।

২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য হন,পরে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান। সালাহ উদ্দিন শিলংয়ে থাকার সময়ই বিএনপির কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি যখন আন্দোলন করছিল, তখন দলের যুগ্ম মহাসচিবের পদে ছিলেন সালাহ উদ্দিন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে দলের মহাসচিবসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলে সালাহ উদ্দিন দলের মুখপাত্র হিসেব আত্মগোপনে থেকে গণমাধ্যমে কথা বলতেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে তিনি নিখোঁজ হলে বিএনপি অভিযোগ তোলে, সরকারি কোনো সংস্থা তাকে তুলে নিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হওয়ার ৬৩ দিন পর ওই বছরের ১১ মে সিলেটের ওপারে মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতের প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। সেই মামলায় রায়ে এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি শিলং জজ আদালত তাকে খালাস দেয়।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
শিরোনামঃ
Verified by MonsterInsights