আজ ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ও ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ এবং ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নীলফামারীতে ১২টি বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

  • In অনুসন্ধান, সারাবাংলা
  • পোস্ট টাইমঃ ১১ আগস্ট ২০২৩ @ ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ ও লাস্ট আপডেটঃ ১১ আগস্ট ২০২৩@১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
নীলফামারীতে ১২টি বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

আইয়ুব আলী
নীলফামারী প্রতিনিধি।।

নীলফামারীর জলঢাকায় ১২টি বীর নিবাস নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। সঠিক তদারকির অভাব ও প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন এবং সময়মতো কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

সূত্রে জানা যায়, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীর নিবাস’। জলঢাকা উপজেলায় প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত ১২টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা। প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রতিটি বীর নিবাস হবে দৃষ্টিনন্দন ও ঢালাইয়ের পাকা ছাদ। সেখানে থাকবে ৩টি বেড রুম, ১টি গেস্টরুম, ২টি বাথরুম ও ১টি কিচেন রুম। এছাড়াও বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সুব্যবস্থাসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বীর নিবাস নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ও অন্যান্য উপকরণ। প্রাক্কলন অনুযায়ী টয়লেট ও রান্না ঘর সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়নি। নিম্নমানের পানির ট্যাঙ্ক ও পাইপ লাগানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক সামগ্রীও নিম্নমানের। নির্মাণ কাজে অনিয়মের কারণে নির্মিত বীর নিবাসগুলোতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা এমন আশঙ্কা মুক্তিযোদ্ধাদের।

জলঢাকা উপজেলার ১১নং কৈমারী ইউনিয়নের আলসিয়াপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আমাকে বীর নিবাস দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু ওইসব ঘরে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।
ইট, সিমেন্ট, রড নিম্নমানের হওয়ায় ছাদটিও ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুইচবোর্ড ব্যবহারের অনুপযোগী, বৈদ্যুতিক মিটার পুরাতন নাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে বার বার অবগত করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।

একই ইউনিয়নের ব্রাম্মণপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বনাথ রায় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার যে ঘর দিয়েছে, সেই ঘরে আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারিনা। আমাদের ঘরে থাকতে ভয় লাগে। বীর নিবাস নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সচ্ছ এন্টারপ্রাইজের নামে থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে হেদায়েতুল্লাহ হেদ্দা নামের এক ব্যাক্তি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো ঘর বুঝিয়ে দেই নাই। তাদের ঘরে উঠতে বলা হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন, ‘প্রথম ধাপের ১২টি বীর নিবাস নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অনিয়মের বিষয়টি সরেজমিনে দেখব, যদি সমস্যা থাকে তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেবে। জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ‘বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ শেয়ারঃ

আরও সংবাদ

জনপ্রিয় সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

আলোচিত সংবাদ

নিউজ শেয়ারঃ
Verified by MonsterInsights