।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এই ৭ দিনের মধ্যে নিবন্ধন না দিলে ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রাশেদ খান। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ার প্রতিবাদে ২৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে নুরুল হক নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। বেলা সাড়ে ১১টায় পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা করে। তবে বাংলা মোটরে মিছিল আটকে দেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খানসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি স্মারকলিপি নিয়ে যান নির্বাচন কমিশনে।
স্মারবলিপি দেয়ার পরে রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে আপনারা পুন:বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারেন। সেই জায়গা থেকে আমরা পুনঃবিবেচনা করার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা পুনঃবিবেচনার জন্য ইসিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি। যাতে করে আমাদেরসহ যৌক্তিকভাবে অন্যান্যদের নিবন্ধন দেয়। যারা সক্রিয় রাজনৈতিক দল আছে প্রত্যেকের যেন নিবন্ধন দেয়। এইজন্য আমরা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি এবং একই সঙ্গে দেখেন আমাদের মিছিলে হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়েছিল। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের প্রত্যেক্যের কাছে আমাদের আবেদন রাস্তায় নামুন প্রতিবাদ করুন।
মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আমাদের নিবন্ধনের বিষয়টি যদি পুনঃবিবেচনা না করা হয় প্রয়োজনে আবারও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবো। এবার হয়তো আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করেছি বলে আমাদের পথে আটকে দিয়েছে। এর পরে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সামনেই ঘেরাও র্কর্মসূচি দেবো। আমরা পুনঃবিবেচনার জন্য ইসিকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে স্বাক্ষাত করেছি। আমাদের নিবন্ধন দেয়নি অথচ ভূঁইফোঁড় দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। এই দলের কোন অফিস নেই কোন কর্মকান্ড নেই। এই দল দুটি মানবন্ধন ও রুমের মধ্যে বৈঠক ছাড়া কিছুই করেনি। অথচ দুল দুটিকে নিবন্ধন দেয়া হলো। ১৪ ও ১৮ মার্কা পাতানো নির্বাচন করার জন্য দল দুটিকে নিবন্ধন দিয়েছে। আমাদের মতো দলকে নিবন্ধন দিলে হয়তো আরও বেশি শক্তিশালী হতাম। আমরা রাজপথে আন্দোলন করতাম। আমাদের এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে তারা অফার করেছে, যদি আপনারা নির্বাচনে আসেন তবে নিবন্ধন দেয়া হবে। ওরা বার বার বলেছে আমাদের কয়টি আসন লাগবে। তবে আমরা সরকারকে পরিষ্কার বলেছি, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। এইজন্য আমাদের নিবন্ধন দেয়নি।