।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সরকার পতন আন্দোলনকে ভয় পায় না আওয়ামী লীগ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্ৰীব হয়ে আছে। জনগণই আমাদের শক্তি। তাই বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলনকে ভয় পাই না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করবে, তাতে আমরা কেন সংঘাতের উস্কানি দেবে? তবে কেউ সংঘাত করলে জনগণের জানমালের রক্ষায় আমরা প্রটেকশন দেবো। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সংঘাত সম্ভাবনা নেই।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এর আগেও লাঠি শোঠা, কম্বল ও হারিপাতিল নিয়ে এসেছিল। তাদের প্রতিটা কর্মসূচিতে পিকনিক করছে। এখন ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব। চলছে। তাই এখন মসার কয়েল নিয়ে আসবে। আমি বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিলাম।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবে না। জেলা শাখায় থাকতে পারবে না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। এই কমিটিকে ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।
বর্তমান ছাত্র রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্র নেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। যে ছাত্র নেতারা ছাত্র ভর্তিতে ও সিট পাইয়ে দিতে টাকা নেয়। এটা দু:খজনক। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাঝে মধ্যে কষ্ট পান। ভিন্নতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। কারণ আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে বঙ্গবন্ধু উত্তোর তার সাহস ও শিক্ষা, সততা সব মিলিয়ে সবার সেরা শেখ হাসিনা। কথা দুইটা একটা মুক্তি আরেকটি স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই দুইটির নেতা আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আরেকজন অর্থনীতি মুক্তির সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এই জনপদে দুই জনের কোনদিন নাম মুছে যাবে না। একজন স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আরেকজন মুক্তির সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, এদেশের অনেকেই রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসেনি। তাদের রাজনীতি ঔপনিবেশিক বস্তাপচা রাজনীতি। শেখ হাসিনার পরিবারের দিকে তাকান অক্সফোর্ড হাবার্ডে পড়াশোনা করা সবাই। কোন হাওয়া ভবন থেকে আসেনি। সজিব ওয়াজেদ জয় আইসিটি বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তিনি আসেন নিরবে। আমরা মাঝে মধ্যে ভাবি প্রকাশ্যে কেন তিনি আসেন না। নেত্রী বলেন, সময় সু্যোগ বলে দেবে কে কখন যোগ্য নেতৃত্বে আসবে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দাওয়াত দিয়েও মায়ের পারমেশন না পাওয়ায় তাকে আনতে পারিনি। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।